কালিয়াচক

দুষ্কৃতীদের গুলির মাঝে পড়ে গেল নিরীহ প্রাণ

খুন যেন নিয়ম হয়ে দাঁড়িয়েছে মালদহের কালিয়াচকে। মাত্র তিনদিন আগে নওদা যদুপুরের সালেপুরে দুষ্কৃতীদের গুলিতে খুন হন জাব্বার শেখ নামে এক যুবক। সেই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মালদহ শেষ আপডেট: ৩১ জুলাই ২০১৬ ০২:৪০
Share:

দেহ রেখে পথ অবরোধ। (ইনসেটে) মৃত ইনজুল। — নিজস্ব চিত্র

খুন যেন নিয়ম হয়ে দাঁড়িয়েছে মালদহের কালিয়াচকে। মাত্র তিনদিন আগে নওদা যদুপুরের সালেপুরে দুষ্কৃতীদের গুলিতে খুন হন জাব্বার শেখ নামে এক যুবক। সেই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। এর মধ্যেই শনিবার দুই দুষ্কৃতীদলের গুলির লড়াইয়ের মাঝে পড়ে প্রাণ গেল নিরীহ বাসিন্দার।

Advertisement

পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম ইনজুল শেখ। পেশায় হাতুড়ে চিকিৎসক ওই ব্যক্তির বাড়ি কালিয়াচকেরই উত্তর গয়েশবাড়ি গ্রামে। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে ওই গ্রামে তৃণমূলের পঞ্চায়েতের প্রার্থীও ছিলেন তিনি। সামান্য ভোটে তিনি হেরে যান। সুজাপুরে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে ১০ কাঠা নিচু জমি রয়েছে। এই জমি নিয়ে এলাকার দুই দুষ্কৃতী গোষ্ঠীর মধ্যে গোলমাল চলছিলই। শুক্রবার থেকে ওই জমিতে মাটি ভরাট করার কাজ চলছিল। এই নিয়েই দুই গোষ্ঠীর বিরোধ চরমে ওঠে। এ দিন বিকেল চারটে নাগাদ আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে দুই দল দুষ্কৃতী সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। জাতীয় সড়কের উপরেই চলে গুলির লড়াই। জাতীয় সড়কে যান চলাচলও বন্ধ হয়ে যায়। ঘটনাস্থলে কালিয়াচক থানার পুলিশ গেলে গুলির লড়াই বন্ধ ছিল। মোটরবাইকে করে সেই সময় বাড়ি ফিরছিলেন ইনজুল। আচমকা ফের গুলির লড়াই শুরু হলে মাঝে পড়ে যান তিনি। পরপর তিনটি গুলি লাগে ইনজুলের। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁর।

এর পরেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন গ্রামবাসী। তাঁরা অভিযোগ করেন, পুলিশ সক্রিয় হয়ে দুষ্কৃতীদের হঠিয়ে দিলে ইনজুলকে প্রাণ হারাতে হত না। দেরি করাতেই দুষ্কৃতীরা এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায়। নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলে পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে জনতা। বিকেল ৫টা থেকে সন্ধ্যে সাড়ে ৬টা পর্যন্ত জাতীয় সড়ক অবরোধ করে রাখা হয়। দীর্ঘক্ষণ ধরে জাতীয় সড়ক অবরুদ্ধ হয়ে থাকায় যান চলাচলে ব্যাপক বিঘ্ন ঘটে। বিপাকে পড়েন নিত্যযাত্রীরা। পরে মালদহ থেকে বাড়তি পুলিশ গিয়ে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে কথা বলে অবরোধ তোলে। পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। ঘটনায় এখনও কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। সুজাপুরের কংগ্রেসের বিধায়ক ইশা খান চৌধুরী বলেন, ‘‘তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা দাপিয়ে বেড়ালেও নিষ্ক্রিয় পুলিশ। তাই এ দিন মৃত্যু হল নিরীহ এক মানুষের।’’ তৃণমূলের জেলা সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন পাল্টা বলেন, ‘‘নিহত ইনজুল আমাদের দলের সক্রিয় কর্মী ছিলেন। দুষ্কৃতীদের দ্রুত গ্রেফতারের জন্য পুলিশকে বলা হয়েছে।’’ মালদহের পুলিশ সুপার অর্ণব ঘোষ বলেন, ‘‘ঘটনার তদন্ত হচ্ছে। দুষ্কৃতীদের খোঁজে তল্লাশি চালানো হচ্ছে।’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement