Tea Cultivation

চা চাষে আয় বাড়াতে উদ্যোগী বিদেশি সংস্থা

বুধবার সংস্থার দুই প্রতিনিধি জলপাইগুড়িতে ক্ষুদ্র চা চাষিদের ডেকে পাঠান। তাঁদের কাছে চা পাতা তোলা থেকে বিক্রি করা পর্যন্ত প্রতিটি পর্যায় শোনেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

জলপাইগুড়ি শেষ আপডেট: ১৬ জানুয়ারি ২০২০ ০২:৪৭
Share:

নবপথে: উত্তরের চা বাগান।

ক্ষুদ্র চা চাষিদের আয় বাড়াতে হাত বাড়াল নেদারল্যান্ডের একটি সংস্থা। বুধবার সংস্থার দুই প্রতিনিধি জলপাইগুড়িতে ক্ষুদ্র চা চাষিদের ডেকে পাঠান। তাঁদের কাছে চা পাতা তোলা থেকে বিক্রি করা পর্যন্ত প্রতিটি পর্যায় শোনেন। কে কোন কৌশলে ব্যবসা করেন, তা-ও জেনে নেন। শেষে সংস্থার প্রতিনিধিরা জানান, সমস্ত ছোট চা চাষির আয় বৃদ্ধির বিভিন্ন মডেল তৈরি করা হবে। ইতিমধ্যে সংস্থাটি এই কাজ শুরু করেছে। কোনও এলাকায় জীবনধারণের জন্য একটি পরিবারের ন্যূনতম কত আয় প্রয়োজন, তা প্রথমে নির্ধারণ করা হবে। সংস্থাটি চেষ্টা করবে ক্ষুদ্র চাষিদের পরিবারকে মাসে সেই পরিমাণ আয় পাইয়ে দেওয়া। প্রয়োজনে চা চাষের সঙ্গে বিকল্প আয়ের পথও বাতলাবে সংস্থাটি।

Advertisement

জলপাইগুড়ি জেলা ক্ষুদ্র চা চাষিদের দাবি, নেদারল্যান্ড থেকে আসা সংস্থাটি ব্যবসায়িক নয়। ইতিমধ্যে চা পাতার গুণমান বৃদ্ধিতে সংস্থাটি কাজ শুরু করেছে। একটি বেসরকারি সংস্থা প্রতিটি বাগানের চা চাষের রীতিনীতি খতিয়ে দেখে সিলমোহর দেয়। সেই সিলমোহর না থাকলে বহুজাতিক চা প্রস্তুতকারী সংস্থাটি বাগান থেকে পাতা কেনে না বলে দাবি। নেদারল্যান্ডের সংস্থাটি জলপাইগুড়ির সমস্ত ক্ষুদ্র চা চাষিদের সেই সিলমোহরের গুরুত্বও বোঝাবে। ক্ষুদ্র চা চাষিদের সর্বভারতীয় সংস্থা সিস্টা-র সভাপতি বিজয়গোপাল চক্রবর্তী বলেন, “ছোট চা চাষিদের বেশিরভাগই প্রান্তিক। চা পাতা তোলা থেকে বিক্রি করা পর্যন্ত প্রতি ধাপে তাঁদের প্রচুর সম্পদ নষ্ট হয়। সেই সম্পদ রক্ষা করতে পারলে তাঁদের আয় বাড়ত। নেদারল্যান্ড থেকে আসা সংস্থাটি সেই সব কৌশলই শেখাবে।”

বেদাঙ্গ বরদৈল এবং রহিনটন বেবিকন নামে দুই প্রতিনিধি জলপাইগুড়িতে এসেছিলেন। ক্ষুদ্র চা চাষিদের উদাহরণ দিয়ে বেদাঙ্গ জানান, হয়তো কোনও গ্রামের চা চাষিরা সকলেই একজনকে পাতা বিক্রি করেন। সেই ব্যক্তি গ্রামে এসে পর্যায়ক্রমে সকলের কাছ থেকে পাতা সংগ্রহ করেন। তাতে অনেক সময় নষ্ট হয়। সেটিও মূল্য নষ্টের সামিল বলে ব্যাখ্যা করেন প্রতিনিধিরা। অথবা অন্য কোনও আনাজ চাষের মরশুমে কয়েকদিন হয়তো চা বাগানের জন্য শ্রমিক পাওয়া গেল না। সাধারণত সে ক’দিন চা পাতা তোলা কমিয়ে দেওয়া হয়। তাতেও আয় কমে যায় চা চাষিদের। তাই আয় বাড়াতে নানা কৌশল শেখানো হবে বলে দাবি। পরবর্তীতে নানা রকম প্রযুক্তিগত সাহায্যও সংস্থাটি করবে বলে আশ্বাস দিয়েছে। ক্ষুদ্র চা চাষিদের উৎসাহ দিতে অসমের গোলাঘাট জেলার পরে উত্তরবঙ্গের জলপাইগুড়িকে মডেল করার জন্য বেছে নিয়েছে বিদেশি সংস্থাটি। নিজস্ব চিত্র

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement