দুই শিবিরের কাহিনি

নতুন প্রধান কি অমল, জল্পনা

তৃণমূল সূত্রের খবর, এখন প্রাথমিক কাজ হল নতুন বোর্ড গঠন। সেই কাজ কবে হবে তা এখনও স্থির হয়নি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা 

গঙ্গারামপুর শেষ আপডেট: ০৭ অগস্ট ২০১৯ ০৬:০০
Share:

কারিগর: অর্পিতা। নিজস্ব চিত্র

অনাস্থা এনে প্রশান্ত মিত্রকে সরানোর পর এখন শাসক তৃণমূলের কাছে একটাই প্রশ্ন, কে হচ্ছেন গঙ্গারামপুরের নতুন পুরপ্রধান। কে-ই বা উপ পুরপ্রধান পদে বসতে চলেছেন?

Advertisement

তৃণমূল সূত্রের খবর, এখন প্রাথমিক কাজ হল নতুন বোর্ড গঠন। সেই কাজ কবে হবে তা এখনও স্থির হয়নি। তবে এক সপ্তাহের মধ্যেই নতুন বোর্ড গঠন করতে তোড়জোড় শুরু হয়েছে। লোকসভা নির্বাচনের আগে থেকে আদর্শ আচরণবিধি চালু থাকায় তখন থেকেই পুরসভার কাজ বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। ভোটপর্ব মিটতেই পুরপ্রধান প্রশান্তের দাদা বিপ্লব মিত্র বিজেপি যোগ দেন। তার পরেই প্রশান্তের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনে তৃণমূল। গত ৪২ দিন ধরে সেই অনাস্থা নিয়ে টালবাহানা চলেছে। ফলে প্রায় চার মাস ধরে পুরসভার কাজ কার্যত বন্ধ। এই অবস্থায় তৃণমূলের কাছে দ্রুত নতুন বোর্ড গঠন করাও চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তৃণমূলের জেলা সভাপতি অর্পিতা ঘোষ বলেন, ‘‘সবে অনাস্থা প্রস্তাব পাশ হয়েছে। এখনও কিছু আইনি দিক রয়েছে কি না, তা নিয়ে আমরা আলোচনা করছি। এ জন্য গোটা বিষয়টি কলকাতায় শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে পাঠানো হচ্ছে। আইনি বাধা মিটে গেলেই বোর্ড গঠন হবে।’’

তৃণমূল সূত্রের খবর, পুরপ্রধানের চেয়ারে প্রাক্তন উপ পুরপ্রধান তথা পুরসভায় তৃণমূল শিবিরের নেতা অমল সরকারের বসা একরকম নিশ্চিত। নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক এক তৃণমূল নেতা জানান, প্রশান্তের বিরুদ্ধে অনাস্থা এনে তাঁর বিরুদ্ধে ১০ জন কাউন্সিলরকে ধরে রাখার লড়াইয়ে নেতৃত্ব দিয়েছেন অমলই। তিনি পুরসভার উপ পুরপ্রধানের পদও সামলেছেন। শিক্ষিত ও তৃণমূলের পুরনো কর্মী হওয়ার সুবাদে সব দিক থেকেই তিনিই পুরপ্রধান পদের যোগ্য দাবিদার। যদিও এ ব্যাপারে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত দল নেয়নি বলে অর্পিতা এ দিন জানিয়েছেন। অমলের নিজের বক্তব্য, ‘‘জেলা সভাপতিই ঠিক করবেন কে কোন পদ পাবেন।’’

Advertisement

তৃণমূল সূত্রের খবর, উপপুরপ্রধান পদে দাবিদার হিসেবে কাউন্সিলর রাকেশ পণ্ডিত, ছন্দা বসাক বিশ্বাস এবং অতনু রায়ের নাম আলোচনায় রয়েছে। অতনু তৃণমূলের প্রাক্তন জেলা সভাপতি প্রয়াত ননীগোপাল রায়ের ছেলে এবং বর্তমানে টিএমসিপির জেলা সভাপতি। পুরসভার কাউন্সিলরদের বিজেপিতে যোগ দেওয়ার প্রতিবাদ প্রথম করেছিলেন অতনুই।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement