বাইসনের দেহ উদ্ধার করছেন বনকর্মীরা। নিজস্ব চিত্র।
বাইসন মেরে তার মাংস কেটে নিয়ে যাওয়ার ঘটনা সামনে এল জলপাইগুড়িতে নাগরাকাটায়। সন্দেহ করা হচ্ছে, নাগরাকাটার জিরো বাঁধের কিছু বাসিন্দা এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত। প্রশিক্ষিত কুকুর নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তদন্ত চলছে গোটা ঘটনার।
জানা গিয়েছে, শনিবার সকালে রুটিন টহলদারির সময় মডেল ভিলেজের কাছে গরুমারা জঙ্গলের মধ্যে একটি পূর্ণবয়স্ক স্ত্রী বাইসনের দেহ পড়ে থাকতে দেখেন বনকর্মীরা। কাছে গেলে দেখা যায় বাইসনটির পিছনের দিকের অনেকটা মাংস ধারালো অস্ত্র দিয়ে কেটে নেওয়া হয়েছে। এর পর খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছন ডায়না ও গরুমারা রেঞ্জের রেঞ্জার ও বনাধিকারিকরা।
আশপাশের এলাকায় জিজ্ঞাসাবাদ এবং খোঁজ শুরু করেন বনকর্মীরা। কিন্তু কোনও সূত্রে মেলেনি। এর পর ঘটনাস্থলে নিয়ে আসা হয় অরল্যান্ডো নামে একটি পুলিশ কুকুর। অরল্যান্ডো মৃত বাইসনের কাছ থেকে ছুটে চলে যায় মডেল ভিলেজের একটি বাড়িতে। এর পর সেখানেই থেমে যায় সে। সন্ধ্যা পর্যন্ত ওই বাড়িতে কোনও সদস্য না থাকায় বনকর্মীরা সেখানেই রয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।
গরুমারা দক্ষিণ রেঞ্জের রেঞ্জার অয়ন ভট্টাচার্য বলেন, “সন্দেহ করা হচ্ছে কেউ হয়তো বাইসনটিকে মেরে মাংস কেটেছেন। তাই স্নিপার ডগ দিয়ে খোঁজ চলানো হচ্ছে। তদন্ত চলছে।” এই ঘটনায় সন্ধ্যা পর্যন্ত কেউ পাকড়াও হয়নি।
ওদলাবাড়ি নেচার অ্যাডভেঞ্চার সোসাইটি (ন্যাস)-এর কর্মকর্তা নফসর আলি বলেন, “এর আগেও গরুমারা জাতীয় উদ্যানে গন্ডার খুন হয়েছে। এবার বাইসন মেরে খাওয়ার বিষয়টি যথেষ্ট চিন্তার বিষয়। তার মানে জঙ্গলে নিরাপত্তার অভাব রয়েছে। আরও কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থার প্রয়োজন।”