করলা নদীতে ফেলা হচ্ছে বালি-পাথর। নিজস্ব চিত্র
শহরের মধ্যে দিয়ে বয়ে চলেছে নদী। তারই পাড়ে বালি-পাথর ফেলে দখল করার অভিযোগ উঠল। জলপাইগুড়ি শহরের করলা নদীর ঘটনা। ২৫ নম্বর ওয়ার্ড ও পাহারপুর পঞ্চায়েত এলাকার ঠিক মাঝে করলা নদীর পাড়ে বালি-পাথর ফেলা হচ্ছে বলে অভিযোগ। স্থানীয়দের দাবি, ওই এলাকাটিই নদীরই অংশ। বর্ষাকালে নদীর জল বাড়লে ওই জায়গাটি নদীতেই চলে যায়। স্থানীয়দের অভিযোগ বেশ কিছুদিন ধরে ভরাটের কাজ চললেও প্রশাসন কোনও পদক্ষেপ করছে না।
শহরের শান্তিপাড়া থেকে গোশালা মোড়ের দিকে যেতে রাস্তার বাঁদিকে পড়ে করলা নদী। শান্তিপাড়া সেতু পেরিয়ে নদীর ফাঁকা অংশ ভরাট করার কাজ চলছে। বালি, পাথর ও বোল্ডার দিয়ে নদীর একটা অংশ ভরাট করে দেওয়া হচ্ছে। সেখানে তৈরি হয়েছে পাকা ঘর। বালি-পাথরের ব্যবসার কাজে ওই জায়গা ব্যবহার করার চেষ্টা চলছে বলে স্থানীয়দের অভিযোগ। শহরের বুক চিরে বয়ে যাওয়া করলা নদী বর্ষার সময় জলে ভরে ওঠে। তাই বর্ষার আগেই ভরাট করার কাজ চলছে বলে দাবি।
যদিও ওই কাজ যাঁরা করছেন তাঁরা এই অভিযোগ মানতে চাননি। তাঁদের দাবি, এক বছর আগে রায়কত পাড়ার এক বাসিন্দার কাছ থেকে সেতু সংলগ্ন ওই জমি কেনা হয়েছে। সেটাই ভরাটের কাজ চলছে। প্রয়োজনীয় নথি রয়েছে বলেও দাবি তাঁদের। জমির মালিকপক্ষের তরফে ঝন্টু ঘোষ বলেন, ‘‘আমাদের কাছে জমির বৈধ নথি রয়েছে। প্রশাসন যদি দেখতে চায় তাহলে নিশ্চয়ই দেখাব।’’
স্থানীয়দের পাল্টা দাবি, নদীর পাড়ের ওই জায়গাটি সরকারি। কী ভাবে ওই জমি বিক্রি হল সেই প্রশ্ন তুলেছেন তাঁরা। সমাজ ও নদী বাঁচাও কমিটির আহ্বায়ক সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘নদী ভরাটের বিষয়টি বারবার প্রশাসনকে জানানো হলেও কোনও পদক্ষেপ করা হচ্ছে না।’’ জেলা ভূমি ও ভূমি রাজস্ব দফতরের আধিকারিক বিপ্লব হালদার বলেন, ‘‘নদীর জমি ভরাট করা হচ্ছে বলে অভিযোগ পেয়েছি। ঘটনাস্থলে গিয়ে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।’’