প্রতীকী ছবি
পথকুকুরকে নির্যাতনের প্রতিবাদ করায় এক তরুণীকে বাড়ি থেকে চুলের মুঠি ধরে বাইরে টেনে এনে মারধরের অভিযোগ উঠল প্রতিবেশীদের বিরুদ্ধে। শুক্রবার বিকেলে বালুরঘাট শহরের রঘুনাথপুরের ঘটনা। ওই তরুণী শুক্রবার বালুরঘাট থানায় মোট ৬ জন পড়শির বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। তিনি জানান, বাড়িতে তিনি, তাঁর মা ও দিদা থাকেন। তরুণী এমএ পাশ করে এখন চাকরির পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। দু’টি পথকুকুরকে তাঁরা বাড়িতে আশ্রয় দিয়ে দেখাশোনা করেন। ওই প্রতিবেশীরা প্রায়ই তাঁদের বাড়িতে থাকা ওই কুকুরদের লক্ষ্য করে ঢিল ছোড়েন, নানা রকম নির্যাতনও করেন বলে অভিযোগ।
শুক্রবার ফের কুকুরকে নির্যাতনের করা হয়, বাড়িতে ঢিল ছোড়া হয় বলে অভিযোগ। তরুণী প্রতিবাদ করলে তাঁদের গালিগালাজ করার পাশাপাশি প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। ঘটনাটি থানায় জানালে ওই দিন পুলিশ এলাকায় গিয়ে ওই প্রতিবেশীদের সাবধান করে আসে। পুলিশ চলে যেতেই অভিযুক্তরা মারমুখী হয়ে ওঠেন বলে তরুণীর অভিযোগ। বাড়িতে চড়াও হয়ে তাঁর চুলির মুঠি ধরে রাস্তায় টেনে এনে মারধর করতে থাকে। সে সময় তরুণীর পরনের কাপড় ছিঁড়ে যৌননিগ্রহ করে মোবাইল ফোন কেড়ে নেওয়া হয় বলেও অভিযোগ। তরুণীর চিৎকারে তাঁর মা এবং অন্য প্রতিবেশীরা ছুটে গিয়ে তাঁকে উদ্ধার করেন।
অভিযুক্ত দুই পড়শির অবশ্য দাবি, অভিযোগ ভিত্তিহীন। তাঁদের লক্ষ্য করেই তরুণী ঢিল ছোড়েন। প্রতিবাদ করলে কুকুরকে নির্যাতনের মনগড়া অভিযোগ করে থানায় জানিয়েছেন। তাঁদের পক্ষ থেকেও থানায় পাল্টা অভিযোগ করা হয়েছে বলে তাঁরা দাবি করেন।
এ দিন থানায় এসে পুলিশের দ্বারস্থ হয়ে নির্যাতিতা তরুণী জানান, অভিযুক্তেদের ওই আচরণে তাঁরা সন্ত্রস্ত হয়ে রয়েছেন। কেড়ে নেওয়া মোবাইলটিও ফেরত পাননি বলে অভিযোগ। যে কোনও সময় তাঁদের উপরে ফের হামলা ও কুকুরগুলির প্রাণনাশের আশঙ্কা করছেন। অভিযুক্তদের অবশ্য পাল্টা দাবি, কয়েক বছর আগে ওই বাড়িতে বেআইনি কাজের বিরুদ্ধে তাঁরা থানায় গণঅভিযোগ (মাস পিটিশন) করেন। ফের তেমনই অভিযোগে তাঁরা সরব হন বলেই কুকুর নির্যাতনের মিথ্যা অভিযোগ তোলা হয়েছে।
থানার আইসি গৌতম রায় জানান, দু’পক্ষের অভিযোগ খতিয়ে দেখে পদক্ষেপ করা হবে।