হুমকির পরে সেই ব্যাঙ্কে ফিরল লিঙ্ক

ওই শাখার ম্যানেজার দেবাংশু চক্রবর্তী বিষয়টি নিয়ে কিছু বলতে চাননি। তবে ওই ব্যাঙ্কের রিজিওন অফিসের এক আধিকারিক বলেন, “বিএসএনএল কাজ করায় পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক হয়েছে। এখন আর কোনও অসুবিধে হবে না।”

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কোচবিহার শেষ আপডেট: ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ০২:৪০
Share:

—প্রতীকী চিত্র।

মন্ত্রী ‘হুমকি’ দেওয়ার একদিনের মাথায় পাল্টে গেল কোচবিহার ইউনাইটেড ব্যাঙ্কের ঘুঘুমারি শাখার ছবি।

Advertisement

শনিবার বেলা ১১টা নাগাদ ওই ব্যাঙ্কে গিয়ে দেখা গেল কর্মতৎপরতা তুঙ্গে। পুরনো দুই কর্মীর জায়গায় অবশ্য কাজে নিয়োগ করা হয়েছে নতুন দু’জনকে। লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা গ্রাহকদের পরিষেবা দিতে তাঁরা কেউ খামতি রাখছেন না। শাখা প্রবন্ধক নিজেও গ্রাহকদের সামলাচ্ছিলেন। তার মধ্যেই বিএসএনএলের কর্মীরা লিঙ্ক ঠিক করতে কাজ শুরু করে দিয়েছেন। দুপুর শেষে ব্যাঙ্কের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়, লিঙ্ক স্বাভাবিক হয়ে গিয়েছে। এখন আর কাজে কোনও অফিসে হবে না।

ওই শাখার ম্যানেজার দেবাংশু চক্রবর্তী বিষয়টি নিয়ে কিছু বলতে চাননি। তবে ওই ব্যাঙ্কের রিজিওন অফিসের এক আধিকারিক বলেন, “বিএসএনএল কাজ করায় পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক হয়েছে। এখন আর কোনও অসুবিধে হবে না।” ব্যাঙ্কের তরফে জানানো হয়, ব্যাঙ্কের দুই কর্মী আপাতত ছুটিতে গিয়েছেন। তাঁদের জায়গায় নতুন দুই কর্মীকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। কয়েকদিন পরে ওই দুই কর্মী ফের কাজে যোগ দেবেন। ঘুঘুমারি বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক গৌতম দত্ত বলেন, “দীর্ঘদিন ব্যাঙ্কের পরিষেবা বেহাল। ব্যবসায়ীরা টাকার জন্য রোজ ঘোরাঘুরি করছেন। মন্ত্রী আসার আগেই পরিষেবা স্বাভাবিক করা প্রয়োজন ছিল।”

Advertisement

শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টা নাগাদ উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ ওই পথ ধরে দিনহাটায় যাচ্ছিলেন। সেই সময় ব্যাঙ্কের লাইনে ভিড় দেখে দাঁড়িয়ে পড়েন তিনি। গ্রাহকদের কাছে টাকা না পাওয়ার অভিযোগ পেয়ে ব্যাঙ্কের ভিতরে ঢুকে চিৎকার শুরু করে দেন তিনি। অভিযোগ, সেই সময় মন্ত্রী ব্যাঙ্কের এক কর্মীকে চড় মারতে উদ্যত হন। এমনকী, তিনি কটূক্তি করেন বলেও অভিযোগ ওঠে। তা নিয়ে সর্বত্র হইচই পড়ে যায়। মন্ত্রীর ব্যবহার নিয়ে অনেকে প্রশ্ন তোলেন। ব্যাঙ্কের তরফেও জানানো হয়, লিঙ্ক না থাকার কারণে তাদের সমস্যা হয়। সেই সমস্যার কথা তাঁরা উর্ধবতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছেন। তাঁদের কোনও ভুল ছিল না। মন্ত্রী বলেন, “গ্রাহকেরা আমাকে ঘিরে ধরে অভিযোগ জানান। তাঁর মধ্যে অনেক বৃদ্ধ-বৃদ্ধা ছিলেন। এটা কিছুতেই মেনে নেওয়া যায় না। তা নিয়েই সরব হয়েছি।” সেই সঙ্গে ওই ব্যাঙ্কে দালাল চক্রের একটি অভিযোগও মন্ত্রী পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন। তা নিয়েও তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ অবশ্য ওই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement