আরএসপি-র এই পার্টি অফিস বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। নিজস্ব চিত্র।
জাল দলিল তৈরি করে আরএসপি পার্টি অফিস বিক্রি করে দেওয়ার অভিযোগ দলেরই প্রাক্তন সদস্যের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে মালদহের মানিকচকে। মহম্মদ সবুক্তগিন নামের ওই প্রাক্তন আরএসপি কর্মী বর্তমানে তৃণমূল কংগ্রেস করেন বলে দাবি জেলা আরএসপি নেতৃত্বের। পার্টি অফিস বিক্রি করার কথা স্বীকার করে নিয়েছেন অভিযুক্ত।তবে এ ব্যাপারে কোনও রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যোগ নেই বলে দাবি করেছেন তিনি। পার্টি অফিস বিক্রি নিয়ে আরএসপি-কে পাল্টা কটাক্ষ করেছেন জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। পার্টি অফিস বিক্রির অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন মালদহের পুলিশ সুপার অলোক রাজোরিয়া।
২০০৮ সালে মানিকচকের পালপাড়া এলাকায় দেড় কাঠা জায়গা কিনে আরএসপি পার্টি অফিস তৈরি করা হয়। ২০০৮ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত মানিকচক ব্লক আরএসপি সম্পাদক ছিলেন মহম্মদ সবুক্তগিন। তাঁর বিরুদ্ধে ২০১৯ সালে জাল দলিল তৈরির অভিযোগ উঠেছে। মানিকচক ব্লকের আরএসপি-র বর্তমান সম্পাদক মোহাম্মদ আতাউল গনি অভিযোগ করেছেন, সবুক্তগিন জাল দলিল তৈরি করে পার্টি অফিস বিক্রি করে দিয়েছেন। অভিযুক্তের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে দলের কোনও যোগাযোগ নেই বলেও দাবি তাঁর। তিনি বিষয়টি জানতে পেরে জেলা নেতৃত্বকে জানান। অভিযোগ করা হয় মানিকচক থানাতেও। আরএসপি-র জেলা সম্পাদক সর্বানন্দ পান্ডে অভিযোগ করেছেন, তাঁদের ওই প্রাক্তন সম্পাদক বর্তমানে তৃণমূল কংগ্রেসে নাম লিখিয়েছেন।শাসক দলের ছত্রছায়াতেই তিনি এই কাজ করার সাহস দেখিয়েছেন বলে অভিযোগ তাঁর। বিষয়টি জেলা পুলিশ সুপারকে লিখিত ভাবে জানানো হয়েছে বলেও তিনি জানিয়েছেন।
পার্টি অফিস বিক্রির কথা স্বীকার করে নিয়েছেন অভিযুক্ত মোহাম্মদ সবুক্তগিন। তিনি বলেছেন, ‘‘অন্যত্র পার্টি অফিস তৈরির জন্যই এই অফিস বিক্রি করা হয়েছিল।’’ তবে জালিয়াতির বিষয়টি জানা ছিল না বলেও দাবি করেছেন তিনি। অন্য রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বিষয়টির কোনও সম্পর্ক নেই বলেও দাবি তাঁর। আরএসপি-র ওঅইই পার্টি অফিসটি কিনেছেন মানিকচকের বাসিন্দা ছবিলাল মণ্ডল। ১১লক্ষ টাকা দিয়ে এই পার্টি অফিস কিনেছেন তিনি। তবে তা যে বেআইনি ভাবে বিক্রি করা হয়েছে, তা জানতেন না তিনি।
এই আরএসপি পার্টি অফিস বিক্রি নিয়ে আরএসপি-কে পাল্টা কটাক্ষ করেছেন জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের কো-অর্ডিনেটর দুলাল সরকার। তিনি বলেন, এই পার্টি অফিস বিক্রিতে তৃণমূলের কোনও যোগ নেই। তিনি বলেছেন, ‘‘সিপিএমের সঙ্গে এই পার্টিটাও উঠে গিয়েছে। যাঁরা ভাল লোক তাঁরা দল ছেড়ে দিয়েছেন। আর যাঁরা দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত, তাঁরা বিজেপিতে নাম লিখিয়েছেন।তাই পার্টি অফিস বিক্রি হল বা থাকল, তা নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের কোনও মাথাব্যথা নেই।’’