ছবি: সংগৃহীত
করোনাভাইরাস নিয়ে সমস্ত স্বাস্থ্যকেন্দ্র ও হাসপাতালগুলিকে সতর্ক করল আলিপুরদুয়ার জেলা স্বাস্থ্য দফতর। সর্বত্র আইসোলেশন ওয়ার্ড খুলতে নির্দেশ দিয়েছেন স্বাস্থ্যকর্তারা। জায়গার অভাব থাকলে আলাদা একটি ঘরকে বেছে নিয়ে অন্তত চারটি বেড রাখতে হাসপাতালগুলিকে নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে। সেই সঙ্গে এই ভাইরাসে আক্রান্ত কারও খোঁজ মিললে কী করণীয়, প্রতিটি ব্লকের স্বাস্থ্যকর্মীদের নিয়ে কর্মশালাও শুরু করেছেন তাঁরা। এদিকে, জয়গাঁয় ভুটান সীমান্তে নজরদারি বাড়িয়েছে এসএসবি।
চিনের এই ভাইরাস সংক্রমণ নিয়ে উদ্বেগ ছড়িয়েছে উত্তরবঙ্গেও। তিনদিন আগেই নেপাল সীমান্তে লাল সতর্কতা জারি হয়। ভুটান সীমান্ত নিয়েও সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হল আলিপুরদুয়ারে। সূত্রের খবর, জয়গাঁর এই সীমান্তে প্রতি মুহূর্তে নজর রাখছে এসএসবি। সন্দেহজনক কাউকে দেখলেই এসএসবি-র মেডিক্যাল টিম পরীক্ষা করে দেখছে। তবে এখনও পর্যন্ত কারও মধ্যে এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার খবর নেই বলে এসএসবি কর্তাদের দাবি। এসএসবি-র ৫৩ নম্বর ব্যাটেলিয়নের কম্যান্ডান্ট অরবিন্দ কুমার জানান, ভুটান সীমান্তে মোতায়েন জওয়ানরা নজরদারির কাজ চালাচ্ছেন। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, রাজ্যের বিভিন্ন বড় হাসপাতালগুলিতে আলাদা আইসোলেশন ওয়ার্ডের ব্যবস্থা থাকলেও আলিপুরদুয়ারে বেশিরভাগ হাসপাতালেই তা নেই। তবে করোনাভাইরাসের কথা মাথায় রেখে এ বার আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতাল, ফালাকাটা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল কিংবা বীরপাড়া রাজ্য সাধারণ হাসপাতাল-সহ গ্রামীণ হাসপাতালগুলিতে আইসোলেশন ওয়ার্ড খুলতে বলা হয়েছে। আলিপুরদুয়ারের উপ-মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সুবর্ণ গোস্বামী বলেন, ‘‘যে সব হাসপাতালে জায়গা রয়েছে, সেখানে আইসোলেশন ওয়ার্ড খোলা হবে। যেখানে জায়গা কম সেখানে অন্তত চারটি বেড রাখার জায়গা বের করতে বলা হয়েছে।’’