অজয় এডওয়ার্ড। —ফাইল চিত্র।
লোকসভা ভোটের আগে, পাহাড়ে নতুন রাজনৈতিক অঙ্কের ইঙ্গিত নিয়ে আলোচনা শুরু। গত পঞ্চায়েত ভোটে বিজেপির সঙ্গে থাকা হামরো পার্টির সভাপতি অজয় এডওয়ার্ড কেন্দ্রীয় সরকারের সমালোচনায় সরব হলেন। শুক্রবার সকালে অজয়-সহ দলের কেন্দ্রীয় কমিটির নেতারা কালিম্পঙের রংপু এলাকায় যান। গত ৪ অক্টোবর তিস্তার জলস্ফীতিতে দেড়শোরও বেশি ক্ষতিগ্রস্ত ঘরবাড়ি দেখার পরে, ত্রাণশিবিরের বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলেন। তার পরে পাহাড়ের শাসক প্রজাতান্ত্রিক মোর্চা বা তৃণমূলের মতো একই সুরে সিকিমের উদাহরণ টেনে কালিম্পং জেলার বিপর্যস্ত অংশের বরাদ্দ নিয়ে সরব হন অজয়।
অজয় বলেন, ‘‘আমরা যে এলাকায় গিয়েছি, তার ৪০ ফুট ওপারে সিকিম। সেখানে কেন্দ্রীয় সরকারের সাহায্য, অনুদান আসছে। আর এ দিকটায় কেন্দ্র এখনও দেখেনি। এটা কি গান্ধীজির দেশ! জিটিএ প্রধানকে সর্বদল বৈঠক ডাকার অনুরোধ করেছি। সবাই মিলে সরব হতে হবে।’’ অজয়ের বক্তব্য, রাজ্য সরকার টাকা দিয়েছে, জিটিএ কাজ করছে এবং কেন্দ্রীয় সরকারেরও সাড়া দেওয়া জরুরি। তাঁর প্রশ্ন, ‘‘ভোটের সময় ভোট চাইতে আসবেন। এখন কোথায়!’’
পুজোর আগেই বন্ধ বাগানের চা শ্রমিকদের বোনাস নিয়ে অজয়-অনীতকে পাশাপাশি দেখা গিয়েছিল। দার্জিলিঙের পেশকে তাঁরা দু’জন চা শ্রমিক সংগঠনগুলির সঙ্গে বৈঠক করে করোনার সময় চা শ্রমিকদের জন্য সংগ্রহ করা প্রায় দু’কোটি টাকার তহবিল বিলির সিদ্ধান্ত নেন। সে দিন অজয়ের ডাকেই বৈঠক ডেকেছিলেন অনীত। অথচ, বছরের শুরু থেকে সম্পর্ক ‘তলানিতে’ ঠেকেছিল।
পঞ্চায়েত ভোটে অজয় বিজেপির সঙ্গে যান। যৌথ জোটের অংশ হিসাবে কিছু আসনে জেতেন। কিন্তু ভোটের পর থেকে জোট নিয়ে ‘বেসুরো’ ছিলেন অজয়। বিজেপি জোটের বিপক্ষে তিনি যে যেতে পারেন, সেই ইঙ্গিতও দিয়েছিলেন। অজয় জানান, রংপু, রিয়াং, গেলখোলা এবং তিস্তা বাজার বিপর্যস্ত। তাঁর অভিযোগ, কেন্দ্রীয় সরকারের ভূমিকা সদর্থক নয়।
দার্জিলিঙের বিজেপি সাংসদ রাজু বিস্তা অবশ্য বলছেন, ‘‘কেন্দ্র রাজ্যকে দুর্যোগ মোকাবিলার জন্য বিপুল টাকা দিয়েছে। সেখান থেকেই রাজ্য বরাদ্দ করুক। তবু দিল্লিতে জানাচ্ছি। কেন্দ্র ব্যবস্থা নেবে।’’ জিটিএ প্রধান অনীতের বক্তব্য, ‘‘রাজু বিস্তা পাহাড়ে এলেই বিক্ষোভ হচ্ছে। বাকিটা মানুষই বলবেন।’’