রবিবার জলমগ্ন তিস্তাবাজারের ছবি। —নিজস্ব চিত্র।
টানা বৃষ্টির পর পাহাড়ে ঝলমলে রোদ দেখা গেল। রবিবার উত্তরবঙ্গ জুড়ে আবহাওয়ার খানিক উন্নতি হয়েছে। আর রবিবারই উত্তরবঙ্গ সফরে আসছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্লাবিত কয়েকটি এলাকায় পরিদর্শনে যাওয়ার কথাও রয়েছে তাঁর। তার মধ্যে বেশ কিছু ধসবিধ্বস্ত এলাকার পরিস্থিতির খানিকটা হলও উন্নতি হয়েছে। শনিবার সন্ধ্যার পর বিক্ষিপ্ত ভাবে এক-দু’জায়গায় বৃষ্টিপাত হলেও রাত থেকে মোটের উপর শুকনোই ছিল পাহাড়। রবিবার দার্জিলিঙে আকাশ মেঘাচ্ছন্ন আকাশ থাকলেও মাঝেমধ্যেই দেখা মিলছে রোদের।
নতুন করে আর ধসের কোনও খবর নেই। কিন্তু পাহাড়ে জাতীয় সড়কের পরিস্থিতি বেশ খারাপ। শ্বেতীঝোড়ার কাছে পাহাড় কেটে রাস্তা তৈরি করেও প্রায় বন্ধই রাখতে হচ্ছে যান চলাচল। পাহাড়ের উপর থেকে হঠাৎ হঠাৎ গড়িয়ে নামছে বোল্ডার। তা ছাড়া গত কয়েক দিনে যে সমস্ত জায়গায় ধস নেমেছে, সেগুলো পরিদর্শনে গিয়েছে প্রশাসন। বেশ কিছু জায়গায় কাজও শুরু হয়েছে। ধসের কবলে যে রাস্তাগুলোর ক্ষতি হয়েছে, সেগুলো সারানোর কাজ শুরু হয়েছে। পূর্ত দফতরের পক্ষ থেকে পাথর সরিয়ে যান চলাচল স্বাভাবিক করার চেষ্টা চলছে। কিন্তু প্রশাসনের ঘাম ছুটিয়েছে কালিঝোড়ার রাস্তার ধস। সেখানকার রাস্তার বেশির ভাগ অংশ তিস্তার গহ্বরে। কিছু জায়গায় ফাটলও দেখা গিয়েছে। স্থানীয়দের আশঙ্কা, স্থলপথের কিছু অংশকে গ্রাস করতে পারে তিস্তা।
এর মধ্যে কি আবার দুর্যোগের আশঙ্কা রয়েছে? সিকিম আবহাওয়া দফতরের ডিরেক্টর গোপীনাথ রাহা রবিবার বলেন, ‘‘বৃষ্টির পরিমাণ কমে গিয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় আজ রোদ উঠেছে। আগামী কয়েক দিনে আর ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস নেই। তবে বজ্রপাত-সহ বিক্ষিপ্ত ভাবে বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকছে।’’ গোপীনাথ জানিয়েছেন, রবিবার থেকে তাপমাত্রা খানিকটা বাড়বে। আর্দ্রতা বেশি থাকার কারণে অস্বস্তি থাকবে।
তিস্তার জলও আপাতত বিপদসীমার নীচে। তিস্তাবাজার এলাকায় প্লাবনের জল নেমে পরিস্থিতি মোটের উপর এখন স্বাভাবিক। চিত্র, বিরিকদারা-সহ এলাকাগুলিতে রাস্তা স্বাভাবিক করা হয়েছে। পানবু থেকে কালিঝোড়া যাওয়ার রাস্তাতেও যান চলাচল এখন স্বাভাবিক বলে স্থানীয় সূত্রে খবর।