Rice Procurement

ধানে রেকর্ড ফলনের আশা, চিন্তা বিক্রির

প্রশাসন সূত্রের খবর, এ বার সরকার ধান কেনার লক্ষ্যমাত্রা বাড়াতে পারে।

Advertisement

নমিতেশ ঘোষ

কোচবিহার শেষ আপডেট: ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২০ ০১:৪৯
Share:

ছবি: সংগৃহীত

কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে হাসি ফুটেছে ধান চাষিদের মুখে। কৃষি দফতরের ধারণা, কোচবিহারে এ বার রেকর্ড ধানের ফলন হবে। সেই ধান বিক্রি নিয়ে অবশ্য এখন থেকেই চিন্তা শুরু হয়েছে। প্রশাসন সূত্রের খবর, এ বার সরকার ধান কেনার লক্ষ্যমাত্রা বাড়াতে পারে। আরও কীভাবে দাম ধরে রাখা সম্ভব, তা নিয়েও চিন্তা শুরু হয়েছে।

Advertisement

জেলার কৃষি আধিকারিক অরুণ বসু বলেন, “এ বার ধান চাষের জন্য জলের অভাব হয়নি। ফলে উৎপাদন অনেকটাই বেশি হবে।” জেলার সহকারী কৃষি আধিকারিক রজত চট্টোপাধ্যায় বলেন, “এখন পর্যন্ত যা অবস্থা দেখা যাচ্ছে তাতে বিঘা প্রতি ২ থেকে ৩ মণ ধান বেশি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।” কৃষি দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, জেলায় ২ লক্ষ হেক্টরেরও বেশি জমিতে ধান হয়। বৃষ্টির জন্য প্রায় ফি বছর হা-হুতাশ করেন চাষিরা। অনেকেই সেচের জন্য পাম্পসেট ভাড়া করেন। আমন ধানের চাষে প্রায় প্রত্যেক বছরই এটা চোখে পড়ে। এ বারেও সেই প্রস্তুতি ছিল। কিন্তু সময়ে বৃষ্টি কাজে দিয়েছে বলে কৃষকেরা খুশি। অনেকেই জানান, এ বার চাষের শুরুতে বৃষ্টি হয়েছে। কৃষি দফতরের এক আধিকারিক বলেন, “এ বার বৃষ্টিতে আলাদা করে জল লাগেনি। যে জমিতে বিঘায় ১০ মণ ধান হত, সেখানে ১২ থেকে ১৩ মণ ধান হবে।”

কোচবিহারে ধান বিক্রি নিয়ে বরাবর কৃষকদের হয়রানির অভিযোগ ওঠে। অভিযোগ, জেলার বিভিন্ন গ্রামে ফড়েরা সক্রিয়। নগদ টাকার টোপ দিয়ে কৃষকদের কাছ থেকে কম দামে ধান কিনে নিয়ে যায় ফড়েরা। কৃষকদের অনেকেরই অভিযোগ, সরকারি ভাবে ধান বিক্রির জন্য প্রশাসন-নির্দিষ্ট জায়গায় যেতে হয়। এর পরেও বিক্রির সঙ্গে সঙ্গে টাকা পাওয়া যায় না বলেও তাঁদের সমস্যা হয়। যদিও প্রশাসনের পক্ষ থেকে এই সমস্যা দূর করতে পদক্ষেপ করা হয়েছে। সমবায় ও স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্যদের মাঠে নামিয়েও ধান কেনা হয়েছে। প্রশাসনের এক আধিকারিক বলেন, “চাষিরা যাতে লোকসানের মধ্যে না পড়েন তা অবশ্যই দেখা হবে।”

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement