চকচকায় পাঁচিল দেবে প্রশাসন

আর কোনও ঝুঁকি নয়, চকচকায় শিল্পনিগমের সাত বিঘে জমি ঘিরে পাঁচিল দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কোচবিহার শেষ আপডেট: ৩১ অগস্ট ২০১৬ ০১:৫১
Share:

বংশীবদন বর্মন। নিজস্ব চিত্র।

আর কোনও ঝুঁকি নয়, চকচকায় শিল্পনিগমের সাত বিঘে জমি ঘিরে পাঁচিল দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন।

Advertisement

প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, ওই জমি গ্রেটার কোচবিহার পিপলস অ্যাসোসিয়েশন (জিসিপিএ) দখল করে রেখেছিল। ফের যাতে কোনও ভাবে ওই জমি বেদখল হয়ে না যায়, সে জন্যই তড়িঘড়ি পাঁচিল দেওয়ার কাজ শুরু করা হবে। শিল্পতালুকের ওই জমিতে ইতিমধ্যেই গ্রেটার কোচবিহার পিপলস অ্যাসোসিয়েশন চিলা রায়ের একটি মূর্তি এবং একটি মন্দির স্থাপন করেছে। পাঁচিল দেওয়া হলে ওই দু’টি ভিতরে পড়ে যাবে। সেক্ষেত্রে কি করণীয়, তা নিয়েও প্রশাসনিক স্তরে আলোচনা শুরু হয়েছে।

কোচবিহারের জেলাশাসক পি উল্গানাথন বলেন, “ওই জমি শিল্পনিগমের। মিউটেশন না করার সুযোগ নিয়ে তা দখল করা হয়েছিল। তা নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। দ্রুত ওই জমি পাঁচিল দিয়ে ঘিরে দেওয়া হবে।” জিসিপিএ নেতারা অবশ্য আগেই জানিয়ে দিয়েছেন, ওই জমি তাঁদের। সে সংক্রান্ত কাগজপত্র তাঁদের রয়েছে। সংগঠনের সহ সভাপতি গৌতম সিংহ বলেন, “জমি নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাই না।” গত ২৮ অগস্ট ওই মাঠে কোচবিহারের ভারত ভুক্তি চুক্তি দিবস পালনের ডাক দিয়েছিল গ্রেটার। কিন্তু প্রশাসনের অনুমতি না পাওয়ায় তাঁরা অনুষ্ঠান করতে পারেনি। শুধু তাই নয়, গ্রেটারের স্বেচ্ছাসেবক বাহিনী নারায়ণী সেনার সদস্যদের কেউ যাতে ওই মাঠে ঢুকতে না পারে, সে জন্য কার্যত গোটা জেলাকে নিরাপত্তার চাদড়ে মুড়ে দেওয়া হয়েছিল। ওই অবস্থার মধ্যে গ্রেটার প্রধান অনন্ত রায় সহ কেন্দ্রীয় স্তরের নেতাদের আর কোচবিহারে দেখা যায়নি। এমনকি অনন্তবাবুর বাড়ি গিয়েও তাঁদের দেখা মেলেনি।

Advertisement

পুলিশ সূত্রের খবর, অনন্তবাবুরা চাপে পড়ে যেতেই ফের সংগঠন শক্তিশালী করতে আসরে নেমে পড়েছে বংশীবদন বর্মনের গ্রেটার কোচবিহার। ইতিমধ্যেই তাঁরা গ্রামে গ্রামে একাধিক বৈঠকে মিলিত হয়েছেন। আগামী ১২ সেপ্টেম্বর তাঁরা ভারত ভুক্তি দিবস পালন করার প্রস্তুতি নিতেও শুরু করেছে। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে ওই সংগঠনের প্রধান নেতা বংশীবাবু নিউ কোচবিহারে টানা চার দিনের রেল অবরোধ করে মামলায় জড়ান। পুলিশের সঙ্গে ওই সংগঠনের সদস্যদের সংঘর্ষ হয়। তাতে বেশ কয়েকজন জখম হন। বংশীবাবু ছাড়া গ্রেটারের প্রথম সারির নেতা ও সমর্থক মিলিয়ে ৩৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়। তাঁদেরই এক জনের কিছু দিন আগে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসারত অবস্থায় মৃত্যু হয়। ওই বন্দিকে খুনের অভিযোগ তুলে গত জুলাই মাসেই বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবি তুলে জেলাশাসককে স্মারকলিপি দেয় গ্রেটার। সেখানে অবশ্য বংশীবাবু উপস্থিত ছিলেন না।

পুলিশ জানায়, মামলায় অভিযুক্ত হওয়ার পর থেকেই গা ঢাকা দিয়েছেন তিনি। দলীয় সূত্রের খবর, তিনি ওই মামলায় জামিন নেওয়ার জন্য উচ্চ আদালতে আবেদন করেছেন। তাঁর জামিন পাওয়ার অপেক্ষাতেই রয়েছেন গ্রেটারের সদস্য ও সমর্থকেরা। তাঁদের আশা, জামিন পেলেই বংশীবাবু প্রকাশ্যে এসে সংগঠনের কাজ সামলাতে শুরু করবেন। বংশীবাবু অবশ্য বলেন, “আইন আইনের পথে চলবে। বিচার বিভাগের উপরে আমার আস্থা আছে। এই মুহূর্তে এর বেশি কিছু বলতে চাই না।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement