চা বাগানের মজুরি মেটাতে উদ্যোগী হল প্রশাসন। জলপাইগুড়ি জেলাশাসক মুক্তা আর্য জেলার বিভিন্ন ব্যাঙ্কের কর্তাদের সঙ্গে বুধবার একটি বৈঠক করেন। সেখানে তিনি ব্যাঙ্ককর্তাদের বলেছেন, চা বাগান কর্তৃপক্ষগুলি যেন তাঁদের প্রয়োজনের সব টাকাই ব্যাঙ্ক থেকে তুলতে পারেন, এমন ব্যবস্থা করতে।
নোট সমস্যার জেরে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক বিভিন্ন ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা তোলার সর্বোচ্চ সীমা নির্ধারণ করে দেওয়ার পর আচমকাই অনিশ্চিত হয়ে পড়েছিল চা শ্রমিকদের মজুরি বিলি। কারণ জেলার বড় বড় বাগানগুলিতে শ্রমিকদের মজুরি দিতে এক সঙ্গে যে পরিমাণ অর্থের প্রয়োজন হয়, তা তুলতে পারছিল না বাগানগুলি৷ এই পরিস্থিতিতে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক শ্রমিকদের এক মাসে দু’বার করে পনেরো দিন অন্তর মজুরি প্রদানের ক্ষেত্রে অ্যাকাউন্ট থেকে বাগানগুলিকে প্রয়োজনীয় টাকা তোলার অনুমতি দেয়৷ যার মধ্যে একবারের পাক্ষিক মজুরি ইতিমধ্যেই পেয়ে গেছেন শ্রমিকরা৷ যদিও রিজার্ভ ব্যাঙ্কের অনুমতি সত্ত্বেও ব্যাঙ্কগুলিতে পর্যাপ্ত টাকা না থাকায় অনেক বাগানকেই সেই মজুরির টাকা তুলতে হিমশিম খেতে হয়৷ বর্তমানে জেলার অনেক বাগানেই বকেয়া পড়ে যাওয়ায়, পরের পনেরো দিনের মজুরির টাকা যাতে বাগানগুলি ব্যাঙ্ক থেকে তাড়াতাড়ি তুলতে পারেন, সে জন্যই বৈঠকের ডাক দিয়েছিলেন জেলাশাসক৷ তিনি বলেন, ‘‘সব ব্যাঙ্কের কর্তাদেরই বলা হয়েছে, বাগানগুলিকে তাড়াতাড়ি শ্রমিকদের মজুরির টাকা দিতে। আশা করছি, এই সপ্তাহেই অনেক বাগানে মজুরি হয়ে যাবে৷’’ আইটিপিএ-র উপদেষ্টা অমিতাংশু চক্রবর্তী জানান, তাঁরা আশাবাদী যে, শীঘ্রই শ্রমিকরা বকেয়া মজুরির টাকা পাবেন৷
এ দিকে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের নির্দেশের জেরে এই পক্ষের মজুরির পর থেকে শ্রমিকদের নিজেদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে মজুরির টাকা তুলতে হবে ৷ এ দিনে বৈঠকে এই বিষয়েও আলোচনা হয় ৷ জেলাশাসক জানান, জেলায় প্রায় পঞ্চাশ শতাংশ শ্রমিকের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খোলার কাজ শেষ হয়েছে৷ বাকিদেরও যাতে দ্রুত তা হয় সেই চেষ্টা চলছে ৷