নোটবন্দির জেরে কাজ হারিয়ে ফিরে আসা বাসিন্দাদের পাশে দাঁড়াতে আর্থিক সহায়তার চিন্তাভাবনা শুরু করেছে রাজ্য সরকার। প্রশাসন সূত্রের খবর, ওই ব্যাপারে উদ্যোগী হয়েছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। তার জেরেই বিভিন্ন জেলায় প্রশাসনের কাছে নবান্ন থেকে পরিস্থিতি পর্যালোচনায় নির্দেশ পাঠানো হয়েছে। করা হয়েছে জেলা ভিত্তিক কমিটিও। কোচবিহার জেলার জন্য তৈরি ওই কমিটিতে জেলাশাসক পি উল্গানাথন, সাংসদ পার্থপ্রতিম রায় ও দিনহাটার বিধায়ক উদয়ন গুহের নাম রয়েছে। ৬ জানুয়ারি সোমবার জেলাশাসকের দফতরে কমিটির প্রথম বৈঠকের সূচি ঠিক হয়েছে। জেলাশাসক বলেন, “নোটবন্দির জেরে ক্ষতিগ্রস্তদের বিষয় নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে জেলায় একটি বৈঠক করা হবে।”
প্রশাসন সূত্রের খবর, কোচবিহার জেলায় প্রচুর বাসিন্দা রাজ্যের অন্য জেলায় তো বটেই রাজস্থান, মহারাষ্ট্র, বিহার, দিল্লি, উত্তরপ্রদেশ থেকে হরিয়ানার মত বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে রয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ইটভাটা শ্রমিক, সোনার কারিগর, বাসনপত্র তৈরির মজুর থেকে কলকারখানার শ্রমিক, কর্মীরাও রয়েছেন। তাঁদের অনেকেই নোট বাতিলের জেরে কাজ হারিয়ে ভিন্ রাজ্য থেকে ফিরে এসেছেন। জেলা প্রশাসনের এক কর্তা জানান, সার্বিক ভাবে কোনও সমীক্ষা হয়নি।
তবে ব্লক প্রশাসনের অফিসগুলির মাধ্যমে খোঁজ রাখা হয়। সেই ভিত্তিতে দুশো জনের তালিকা করা হয়েছে। প্রশাসন সূত্রের দাবি, নোটবন্দিতে কর্মচ্যুতদের সর্ব্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত আর্থিক সাহায্য দেওয়া নিয়ে চিন্তাভাবনা অনেকটা এগিয়েছে। কোচবিহারের সাংসদ পার্থপ্রতিম রায় বলেন, “বৈঠকে গেলে বিশদে জানতে পারব। মানুষের জন্য যে উদ্যোগ নেওয়া হবে তা জেলায় পুরোপুরি বাস্তবায়ন করতে আমরা তৎপর হব।”