বাদ্যি: ঢাক বাজিয়ে চলছে প্রচার। ছবি: হিমাংশুরঞ্জন দেব
ধান কেনার তথ্য জানাতে ঢাক পিটিয়ে প্রচার শুরু করল প্রশাসন। শনিবার মেখলিগঞ্জ ব্লক প্রশাসনের উদ্যোগে কুচলিবাড়ি বাজার ও লাগোয়া এলাকায় ওই প্রচার চালানো হয়। প্রশাসন সূত্রের খবর, গ্রামগঞ্জের হাট বাজারে ঢাক বাজানোর আলাদা সুফল মেলে। আগ্রহীদের ভিড়ও সহজে জমে যায়। তাই এমন ব্যবস্থা।
এ দিনও ঢাক বাজানো শুরু হতেই বাজারে ভিড় জমে যায়। তারপরেই ঢাকির সঙ্গে থাকা ব্লক প্রশাসনের কর্মীরা সহায়ক মূল্যে ধান কেনার দর থেকে শিবিরের সূচি জানিয়ে দেন। অনেকে কবে টাকা পাওয়া যাবে, নগদ মিলবে কি না এ সব জানতে চান। প্রশাসন জানায়, চাষির অ্যাকাউন্টে বাহাত্তর ঘণ্টার মধ্যে টাকা পেয়ে যাবেন।
কিন্তু আচমকা মাইক ছেড়ে ঢাক পিটিয়ে প্রচারের এমন উদ্যোগ কেন? মেখলিগঞ্জের বিডিও বীরুপাক্ষ মিত্র জানান, আগামী ১৫ মার্চ উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু হবে। ফলে ধান কেনা নিয়ে টানা মাইক বাজানো হলে পরীক্ষার্থীদের প্রস্তুতিতে সমস্যা হতে পারে। তাই প্রচারে মাইক ব্যবহার কিছুটা নিয়ন্ত্রণের পরিকল্পনা নেওয়া হয়। তার ওপর হাট বাজারে মাইকের বদলে ঢাক অনেক বেশি কার্যকর হতে পারে ভাবনা থেকেই ওই ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, মেখলিগঞ্জ ব্লকে ৫০ হাজার মেট্রিক টন ধান কেনার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। এখনও পর্যন্ত কেনা হয়েছে ১১ হাজার মেট্রিক টন। প্রশাসনের এক কর্তা জানান, ভোটবাড়ি কিষান মান্ডি ছাড়া তিনটি সমবায় সমিতি ধান কেনার কাজে নেমেছে। জামালদহ, বোকনাবান্ধা ও কামাত চ্যাংরাবান্ধায় সমিতির অফিসে ধান কেনা হচ্ছে। সমিতিগুলিকে হাটে পাঠাতেও পদক্ষেপ করা হয়েছে। ধাপরাহাট, রানিরহাট ও ধূলিয়ারহাটে ধান কিনতে দ্রুত শিবির চালুর অনুমোদনও চাওয়া হয়েছে।