প্রতীকী চিত্র।
কোভ্যাক্সিনের ভাঁড়ার শূন্য। অথচ দ্বিতীয় ডোজ় পাওয়া বাকি কয়েক হাজার মানুষের, যাঁদের মধ্যে অনেকের নির্ধারিত সময়সীমাও পার হয়ে গিয়েছে বলে জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রেক খবর। কবে রাজ্য থেকে ফের কোভ্যাকসিন পাঠানো হবে, নিশ্চিত করে বলতে পারছেন না কেউই। কোভিশিল্ড পাওয়া গেলেও তা এতই কম ও অনিয়মিত ভাবে আসছে যে অতি ধীরে চলছে টিকাদান কর্মসূচি।
নদিয়া জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, রবিবার সকাল পর্যন্ত কোভিশিল্ড ও কোভ্যাক্সিন মিলিয়ে ৭ লক্ষ ৩২ হাজার ৫৯৯ জন প্রথম ডোজ় টিকা পেয়েছেন। দ্বিতীয় ডোজ় পেয়েছেন ৩ লক্ষ ৮৩ হাজার ৫৮০ জন। জেলায় মোট যত জনকে টিকা দিতে হবে এখনও পর্যন্ত তার মাত্র ২৩ শতাংশ প্রথম ডোজ় পেয়েছেন। দ্বিতীয় ডোজ়ও বাকি রয়েছে বিপুল সংখ্যক মানুষের। শনিবার ৩৯৫০ জনকে প্রথম ডোজ় ও ৩৪৩০ জনকে দ্বিতীয় ডোজ় দেওয়া হয়েছে।
রাজ্য থেকে শেষ বার জেলায় কোভ্যাক্সিন এসেছে গত ২০ জুলাই। তা-ও মাত্র ৪ হাজার ৯৬০ ডোজ। অথচ দ্বিতীয় ডোজ়ই বাকি আছে কয়েক হাজার মানুষের। শুক্রবারই ডিস্ট্রিক্ট ভ্যাকসিন স্টোর কোভ্যাক্সিন-শূন্য হয়ে যায়। হাসপাতালগুলির হাতে ছিল মাত্র ৩ হাজার ৬২০ ডোজ। শনিবার বিভিন্ন হাসপাতাল থেকে দ্বিতীয় ডোজ় দেওয়ার পর রবিবার সকালে গোটা জেলায় মাত্র ৮৮০টি ডোজ় পড়ে থেকেছে, সেটা দিনের চাহিদা পূরণ করার পক্ষেও যথেষ্ট নয়। অথচ রবিবার পর্যন্ত প্রায় ১৭ হাজার মানুষের কোভ্যাক্সিনের দ্বিতীয় ডোজ় পাওয়া বাকি থেকে গিয়েছে, যার মধ্যে ৬ সপ্তাহ পার হয়ে গিয়েছে প্রায় ১০ হাজার মানুষের। জেলার এক কর্তার কথায়, “কোভ্যাক্সিনের ক্ষেত্রে ৪ থেকে ৮ সপ্তাহের মধ্যে দ্বিতীয় ডোজ় দেওয়ার কথা। অনেক আগেই আমরা কোভ্যাক্সিনের প্রথম ডোজ় বন্ধ করে দিয়েছিলাম। রাজ্য থেকে নতুন করে কোভ্যাক্সিন না আসা পর্যন্ত দ্বিতীয় ডোজ়ও বন্ধ রাখতে বাধ্য হব।”
কোভিশিল্ডও প্রয়োজনের তুলনা অত্যন্ত কম আসায় ৪৫ বছর ও তার বেশি বয়সিদের ছাড়া দ্বিতীয় ডোজ় দেওয়া প্রায় বন্ধ। ১৮ থেকে ৪৪ বছর বছর বয়সিদের জন্য সরকার নির্ধারিত ৩১টি ‘প্রায়োরিটি গ্রুপ’ ছাড়া মাত্র কয়েকটি ক্ষেত্রে দ্বিতীয় ডোজ় দেওয়া হয়েছে। যাঁদের বিদেশে যাওয়ার প্রয়োজন, যে সমস্ত মায়েদের সন্তানের বয়স ১২ বছরের মধ্যে এবং যাঁদের কোবর্মিডিটি আছে, শুধু তাঁদেরই প্রথম ডোজ় দেওয়া হচ্ছে বলে জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানানো হয়েছে।