অপেক্ষায়: টিকা নেওয়ার লাইনে বিএসএফ জওয়ান। জলপাইগুড়িতে। নিজস্ব চিত্র
রোগী না থাকলেও শিলিগুড়ি ইন্ডোর স্টেডিয়ামের সেফ হোমের পরিকাঠামো তৈরি থাকবে বলে জানিয়ে দিল স্বাস্থ্য দফতর। এই সেফ হোমে করোনা রোগী এখন আর আসছে না— এমন যুক্তিতে ডিসেম্বরের শেষ থেকে সেফ হোমটি বন্ধ করে দেওয়ার আবেদন করছিলেন পুর কর্তৃপক্ষ। তাঁদের যুক্তি, সেফ হোম চালু থাকায় ডাক্তার, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মীদের কাজে বহাল রাখতে হচ্ছে। তা ছাড়া স্টেডিয়ামে অন্য কাজকর্ম করা সম্ভব হচ্ছে না। তবে এই আবেদনে সম্মতি দেয়নি জেলা স্বাস্থ্য দফতর। বরং তাদের বক্তব্য, জায়গাটিকে ‘স্ট্যান্ড বাই’ হিসেবে তৈরি রাখা হোক। এই কথা জানিয়ে বৃহস্পতিবার পুর কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়েছে জেলা স্বাস্থ্য দফতর। তাতে অন্য কাজে ওই স্টেডিয়াম ব্যবহার করা নিয়ে সমস্যা রয়েই যাবে বলে মনে করছেন পুর কর্তৃপক্ষের একাংশ।
মুখ্য স্বাস্থ্য আধকারিক প্রলয় আচার্য বলেন, ‘‘ওই জায়গা স্ট্যান্ড বাই হিসেবে রাখার কথা জানানো হয়েছে। যাতে সংক্রমণ হঠাৎ বাড়লে, আবার তা ব্যবহার করা যায়। সেখানকার পরিকাঠামোও একই রাখা হবে।’’ তবে চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মী বা অন্য কর্মীরা অন্যত্র কাজ করবেন। দরকার মতো তাঁদের আবার এখানে দায়িত্ব দেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
পুরসভার প্রশাসক বোর্ডের স্বাস্থ্য বিভাগ দেখভালের দায়িত্বে থাকা সদস্য শঙ্কর ঘোষ বলেন, ‘‘রোগী নেই। তাই সেফ হোম বন্ধ করার সম্মতি চেয়ে জেলা স্বাস্থ্য দফতরে চিঠি করা হয়েছিল। তারা এটি ‘স্ট্যান্ড বাই’ রাখার কথা জানিয়েছে। তাতে সেটি কী ভাবে থাকবে তা নিয়ে মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের সঙ্গে কথা বলব।’’ রোগী না থাকলেও সেফ হোম হিসেবে অন্তত ২ জন চিকিৎসক, ৪ জন নার্স, ৭-৮ জন স্বেচ্ছাসেবক, ১ জন সাব ইন্সপেক্টর-সহ ৪ জন পুলিশ— সব বহাল রাখতে হচ্ছিল। এ বার তা দরকার না হলে তাদের অন্যত্র কাজে লাগানো হবে।
শহরে করোনার সংক্রমণ ব্যাপক বাড়তে থাকলে ২১ অগস্ট শিলিগুড়ি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে সেফ হোম চালু করা হয়। তা নিয়ে প্রথমে স্থানীয় কাউন্সিলরও আপত্তি তোলেন। পরে পর্যটনমন্ত্রী, প্রশাসক বোর্ডের চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা বলে সমস্যা মেটান। প্রাথমিক ভাবে ৫০টি শয্যা নিয়ে সেটি চালু করা হয়। পুজোর পর থেকেই রোগী কমে গড়ে ৫-৬ জন করে রোগী থাকছিল। গত ২৫ ডিসেম্বরের পর থেকেই আর রোগীর দেখা নেই এই সেফ হোমে।