উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ। —নিজস্ব চিত্র।
করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের ভারপ্রাপ্ত প্রধান। উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজের একটি সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ১৮ জানুয়ারি তাঁর নমুনা পরীক্ষা করা হলে ‘পজ়িটিভ’ মেলে। মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের প্রধান অরুণাভ সরকার কাজে কলকাতায় গিয়েছেন। সে কারণে অস্থায়ী ভাবে প্রধান ছিলেন অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর ওই মহিলা। তিনি আক্রান্ত হওয়ায় এখন সে দায়িত্ব সামলাচ্ছেন অমিত মজুমদার। ওই ঘটনায় মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের বা মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসক, কর্মীদের মধ্যে যাঁরা তাঁর সংস্পর্শে সম্প্রতি এসেছিলেন তাঁদের নমুনা পরীক্ষা করানো হয়েছে।
এর আগেও মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের এক কর্মী আক্রান্ত হয়েছিলেন জানুয়ারি মাসেই। তবে তিনি কলকাতা থেকে ফিরেছিলেন। বর্তমানে যিনি আক্রান্ত হয়েছেন, তিনি অবশ্য সম্প্রতি বাইরে যাননি বলেই কলেজেরই একটি সূত্রে জানা গিয়েছে। তা হলে কী ভাবে বা কোথা থেকে তিনি সংক্রমিত হলেন, তা নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে।
করোনার নতুন সাবভ্যারিয়েন্ট জেএন.১ এর জন্য কেন্দ্রের তরফে ইতিমধ্যেই সতর্ক করা হয়েছে রাজ্যগুলোকে। সে মতো এ রাজ্যের তরফেও জেলাগুলোকে সতর্ক করা হয়েছে। নজরদারি করতে নমুনা বেশি করে পরীক্ষা করার জন্য বলা হয়েছে। তবে উত্তরবঙ্গের জেলাগুলোতে সে ভাবে নমুনা পরীক্ষা হচ্ছে না বলে অভিযোগ। এমনকি, কম নমুনা মেলায় ‘পজ়িটিভ’ রোগীও হাতে গোনা সাত জন পাওয়া গিয়েছে ডিসেম্বর এবং জানুয়ারি মাসে। ২০টি বা তার বেশি নমুনা ‘পজ়িটিভ’ হলে, তবেই সাধারণত ‘জিনোম সিকোয়েন্সিং’-এর জন্য পাঠানো হয়। না হলে বিষয়টি খরচ সাপেক্ষ হয়। এ ক্ষেত্রেও তাই ‘জিনোম সিকোয়েন্সিং’ করে এখনও জানা যায়নি আক্রান্তেরা কী ধরনের প্রজাতি বা উপপ্রজাতির করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। যদিও দার্জিলিং জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক তুলসি প্রামাণিক দিন কয়েক আগেই জানিয়েছিলেন, চিকিৎসকদের তিনি নির্দেশ দিয়েছেন, প্রয়োজন মতো নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠাতে।
উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ডিন সন্দীপ সেনগুপ্ত বলেন, ‘‘দুই-এক জন আক্রান্ত হলেও, এখনই কিছু উদ্বেগের বিষয় রয়েছে, এমন নয়। তবে নজরদারি সব সময়ই করা হচ্ছে। পরীক্ষা বেশি হলে, কারও না কারও শরীরে ভাইরাসের উপস্থিতি মিলবে। উপসর্গ খুব কমই রয়েছে।’’ তবে তিনি জানান জ্বর, সর্দি হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে। কেন না করোনা ভাইরাসের চরিত্র বদলাচ্ছে।