বাহারাইলে বিস্ফোরণের পর। নিজস্ব চিত্র।
পার্সেল বোমা বিস্ফোরণ নিয়ে এখনও উত্তেজনা রয়েছে উত্তর দিনাজপুরের হেমতাবাদ থানার বাহারাইলে। দোকান পার্সেল রেখে যাওয়া অভিযুক্ত টোটোচালক এখনও অধরা। তাঁর খোঁজ চালানো হচ্ছে বলে জানিয়েছে হেমতাবাদ থানার পুলিশ। পাশাপাশি ঘটনার প্রতিবাদে শনিবার ১২ ঘণ্টা ব্যবসা বন্ধের ডাক দিয়েছেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা।
শুক্রবার বিকালে এক টোটোচালক বাহারাইলের একটি ওষুধের দোকানের সামনে একটি পার্সেল দিয়ে গিয়েছিলেন। সেই পার্সেলে প্রাপক হিসাবে ছিল ওই ওষুধের দোকানের মালিক বাবলু চৌধুরীর নাম। সেই পার্সেল খুলতেই বিস্ফোরণ ঘটে। আচমকা বিস্ফোরণে আহত হন চার জন। তার পর বিষয়টি নিয়ে আতঙ্ক ছড়িয়েছে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের মধ্যে।
ঘটনার পর থেকেই অভিযুক্তদের শাস্তির দাবিতে সরব স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। ঘটনার তদন্তে নেমেছেন হেমতাবাদ থানা এবং রায়গঞ্জ পুলিশ জেলার আধিকারিকরা। ঘটনাস্থল থেকে হেমতাবাদ পর্যন্ত ১০ প্রায় কিলোমিটার এলাকায় থাকা সিসিটিভির ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। অভিযুক্ত টোটোচালকেরও খোঁজ চলছে বলে জানিয়েছেন তাঁরা। রবিবার ঘটনাস্থল পরিদর্শনে আসতে পারেন আইজি উত্তরবঙ্গ।
ঘটনার জেরে আতঙ্ক ছড়িয়েছে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের মধ্যে। ঘটনার প্রতিবাদে শনিবার ১২ ঘণ্টার ব্যবসা বন্ধ চলছে সেখানে। স্থানীয় ব্যবসায়ী কাজল ঘোষ বলেছেন, ‘‘জীবনে প্রথম দেখলাম এ রকম ঘটনা। খুব আতঙ্কের মধ্যে রয়েছি। ব্যবসা বন্ধ রেখেছি। এই ঘটনার সুরাহা চাইছি আমরা। পুলিশ যেন দোষীদের গ্রেফতার করে উপযুক্ত শাস্তি দেয়।’’ একই সুর স্থানীয় বাসিন্দা সত্যজিৎ অধিকারীর গলাতেও। তিনি বলেছেন, ‘‘আমরা খুব আতঙ্কে আছি। ভাল লোকের সঙ্গে এ রকম ঘটনা ঘটল। সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ব্যবসা বন্ধ রাখা হয়েছে। আমরা বিষয়টি নিয়ে চিন্তিত।’’