গাড়ির শোরুমে হামলা ও সেখানকার কর্মী-আধিকারিকদের মারধরের ঘটনায় গ্রেফতার তৃণমূলের দুই কর্মীকে জামিন দিল আদালত৷ শনিবার গভীর রাতে গ্রেফতারের পর এ দিন তাঁদের জলপাইগুড়ি আদালতে তোলা হলে বিচারক তাদের জামিন মঞ্জুর করেন৷ এদিকে, যে এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে, সেখানকার স্থানীয় পঞ্চায়েত সমিতির তরফে শোরুমের সিইও সহ সাত কর্তার বিরুদ্ধে জলপাইগুড়ি কোতোয়ালি থানায় পাল্টা একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে৷
শনিবার, শো-রুমের উদ্বোধনের দিনই জলপাইগুড়ির শিরীষতলায় হামলা ও কর্মী-আধিকারিকদের বেধড়ক মারধরের অভিযোগ ওঠে কয়েকজন তৃণমূল কর্মীর বিরুদ্ধে৷ ঘটনায় রাতে শোরুমটির পক্ষ থেকে স্থানীয় অরবিন্দ গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য নান্টু দাস সহ সাত জনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করে পুলিশ৷ গভীর রাতে গ্রেফতার করা হয় প্রশান্ত সরকার ও মিঠু সরকার নামে দুই যুবককে৷ যাঁরা নান্টুবাবুর ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত৷ পুলিশ সূত্রের খবর, এফআইআরেও ওই যুবকের নাম রয়েছে৷ ঘটনার প্রতিবাদে এ দিন দুপুরে জলপাইগুড়ি কোতয়ালি থানায় বিক্ষোভ দেখান শিরীষতলা এলাকার তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকরা৷ নেতৃত্ব দেন খোদ গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান মৌ সূত্রধর৷ যদিও প্রধানের দাবি, এলাকার দু’জনকে মিথ্যা অভিযোগে পুলিশ গ্রেফতার করাতে স্থানীয় বাসিন্দারাই তাঁর নেতৃত্বে এই বিক্ষোভ দেখিয়েছে৷
শো-রুম কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগ, অন্যায় ভাবে রাস্তা কেটে পাইপ বসিয়েছেন তাঁরা। আরও অভিযোগ, প্রধানকে দুই পঞ্চায়েত সদস্য সহ স্থানীয় কিছু মহিলাকে নিয়ে সেখানে গেলে তাদের ধাক্কা মারা হয়৷ এমনকি এক মহিলার পরনের কাপড় ধরে টানাটানি করে শারীরিক হেনস্থা করা হয়৷ এ দিন থানায় বিক্ষোভের সময় শোরুম কর্তাদেরও গ্রেফতারের দাবি তোলা হয়৷ যদিও পুলিশের তরফে তদন্ত করে দেখার আশ্বাস দেওয়া হয়৷ তবে শোরুম সিইও যাবতীয় অভিযোগকে ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছে৷