পাড়ার অনেকেই তাকে দেখছে। শুধু পুলিশ খুঁজে পাচ্ছে না।
গত শনিবার জলপাইগুড়ি শহরের ২২ নম্বর ওয়ার্ডের পবিত্রনগর কলোনির বাসিন্দা বছর সাতেকের নারায়ণ দে সরকার নামে এক বালক গুরুতর আহত হয়। তার হাতে একটি দড়ি বেঁধে তা কাছেই ঘুরে বেড়ানো একটি মোষের বাচ্চার গলার দড়ির সঙ্গে বেঁধে দেওয়া হয়। কিছু ক্ষণ পরেই মোষের বাচ্চাটি দৌড়তে শুরু করলে বাচ্ছাটি তার টান সামলাতে না পেরে মাটিতে পড়ে যায়। তারপরে তাকে প্রায় একশো মিটার ছেঁচড়ে নিয়ে য়ায় মোষের বাচ্চাটি।
এই ঘটনার পরে কে ওই বাচ্ছার হাতের সঙ্গে মোষের গলার দড়ি বেঁধেছিল, তার খোঁজ শুরু হয়। নারায়ণ গুরুতর জখম হয়েছে। তাকে জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতালে ভর্তি করিয়ে চিকিৎসা করাতে হচ্ছে। ওইটুকু বাচ্চার এমন অবস্থার জন্য অনেকেই দোষীর উপযুক্ত শাস্তির দাবি করতে থাকেন।
সেই সময়েই নাম উঠে আসে ওই এলাকারই বাসিন্দা রবি রায়ের। শনিবারই নারায়ণের মা শম্পা দে সরকার জলপাইগুড়ি কোতোয়ালি থানায় এলাকার রবির নামে অভিযোগও দায়ের করেন।
কিন্তু রবি এখনও অধরা। অথচ পাড়ার বাসিন্দারাই জানাচ্ছেন, রবি রায়ের কাজকর্ম স্বাভাবিক। বাড়িতে খাচ্ছে। বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে ঘুরে বেড়াচ্ছে। কিন্তু পুলিশ তাকে ধরতে পারছে না। ঘটনার পর ৪৮ ঘন্টা কেটেছে। সোমবারও তাঁকে ধরতে পারেনি পুলিশ। জলপাইগুড়ি কোতোয়ালি থানার আইসি আশিস রায় বলেন, “একাধিকবার তার বাড়িতে গিয়ে তাকে পাওয়া যায়নি। সে পালিয়ে যাচ্ছে। তার গতিবিধির খোঁজ নেওয়া হচ্ছে। তাকে ধরে ফেলা হবে।”
এলাকার বাসিন্দাদের কয়েক জনের কথায়, রবিরও বয়স বেশি নয়। সে বুঝতেও পারেনি, ঘটনা এমন গুরুতর হয়ে উঠবে। তবে আরও বেশ কয়েকজনের বক্তব্য, রবির বিরুদ্ধে আগেও এমন অভিযোগ উঠেছে। সে একটু ডানপিটে। শুধু তাই নয়, তাঁদের কথায়, নারায়ণের আরও বড় আঘাত লাগতে পারত। তাঁরা দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি তুলেছেন।