সংঘর্ষে টোটোর কিছু অংশ ভেঙে যায়। নিজস্ব চিত্র।
মঙ্গলবার রাতে ঘটে যাওয়া দুর্ঘটনা ঘিরে ব্যাপক অশান্তি ছড়াল ধূপগুড়িতে। শহরের কলেজ রোডের উপর সৎসঙ্গ মোড়ে মঙ্গলবার রাত ৯টা ৫০ মিনিট নাগাদ বেপোরোয়া ‘স্পোর্টস বাইক’ ধাক্কা মারে একটি টোটোয়। ঘটনায় আহত হন চার জন। এদের মধ্যে দু’জন বাইক আরোহী ও দু’জন ছিলেন টোটোয়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় দুই বাইক আরোহী এবং টোটো চালককে জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ান অনুসারে, সম্ভবত বাইকটির চালক ও আরোহী দু’জনই মত্ত অবস্থায় ছিলেন এবং তাঁরা অত্যন্ত গতিতে বাইক চালাচ্ছিলেন। ঘটনার পরেই এলাকায় এসে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন স্থানীয়েরা। তাঁদের দাবি, দিনের পর এ ভাবেই রাতে ট্রাফিক নিয়ম ভেঙে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে বাইক। বেশিরভাগ চালকই মত্ত অবস্থায় গাড়ি চালাচ্ছেন। তাঁদের উপর নজরদারি চালানোর মতো কোনও প্রশাসনিক আধিকারিকের দেখা মেলে না কোথাও। ঘটনাস্থলে পরিস্থিতি সামাল দিতে হাজির হয় পুলিশ। পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন সাধারণ মানুষ। রাস্তা বন্ধ করে চলে বিক্ষোভ।
স্থানীয় মানুষের জানিয়েছেন, বাইকের গতিতে কোনও নিয়ন্ত্রণই ছিল না চালকদের। সংঘর্ষে টোটোর কিছু অংশ ভেঙে যায়। ছিটকে পড়ে গুরুতর আহত হন টোটোচালক সুদেব রায় এবং আরোহী অর্পণ তরফদার। সংঘর্ষে ছিটকে রাস্তা পড়ে যান বাইকের দুই আরোহী সুপ্রিয় গুহ এবং তাতাই সাহা। জখম দুই বাইক আরোহীই পুর এলাকার ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের রবীন্দ্রনগরের বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে। টোটোচালক এবং আরোহী অরবিন্দ পল্লি এলাকার বাসিন্দা। মঙ্গলবারের ঘটনা নিয়ে টোটোযাত্রী অর্পণ বলেন, ‘‘ধনী পরিবারের বেপরোয়া সন্তানদের স্পোর্টস বাইকের দাপটে শহরে চলা দায় হয়ে গিয়েছে। রাত নামলে সেই দাপট আরও বেড়ে যায়। পুলিশ ও ট্রাফিক বিভাগ হয়তো এই বড়লোকেদের পকেটে থাকে, তাই কোনও ব্যবস্থা নেওয়া না। মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরতে হয় আমাদের মতো সাধারণ মানুষকে।’’