লেবুর প্রচারে অভিযুক্ত, নালিশ

মিছিলে দুষ্কৃতীদের সামিল করে এলাকায় সন্ত্রাস ছড়ানোর চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে মালদহের সুজাপুর বিধানসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী আবু নাসের খান চৌধুরীর (লেবু) বিরুদ্ধে। রবিবার এমনই অভিযোগ তুলে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জানিয়েছেন জেলা কংগ্রেস নেতৃত্ব। সুজাপুর বিধানসভা কেন্দ্রের কংগ্রেস প্রার্থী ইশা খান চৌধুরী বলেন, ‘‘তৃণমূল প্রার্থী ওয়ান্টেড আসামী আসাদুল্লা বিশ্বাসকে সঙ্গে নিয়ে মিছিল করছেন।’’

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মালদহ শেষ আপডেট: ২৮ মার্চ ২০১৬ ০২:৪১
Share:

প্রচারে লেবুবাবু।—নিজস্ব চিত্র

মিছিলে দুষ্কৃতীদের সামিল করে এলাকায় সন্ত্রাস ছড়ানোর চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে মালদহের সুজাপুর বিধানসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী আবু নাসের খান চৌধুরীর (লেবু) বিরুদ্ধে। রবিবার এমনই অভিযোগ তুলে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জানিয়েছেন জেলা কংগ্রেস নেতৃত্ব। সুজাপুর বিধানসভা কেন্দ্রের কংগ্রেস প্রার্থী ইশা খান চৌধুরী বলেন, ‘‘তৃণমূল প্রার্থী ওয়ান্টেড আসামী আসাদুল্লা বিশ্বাসকে সঙ্গে নিয়ে মিছিল করছেন। মানুষকে ভয় দেখানোর জন্য দুষ্কৃতীদের নিয়ে মিছিল করছে তৃণমূল।’’ তাঁর বক্তব্য, ‘‘বিগত দিনে তৃণমূলের আশ্রয়ে থাকা দুষ্কৃতীদের দৌরাত্ম্যে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে কালিয়াচক। মানুষ আর কালিয়াচকে অশান্তি চান না। আর পুলিশ কিছু করছে না। তাই আমরা নির্বাচন কমিশনের কাছে অভিযোগ জানিয়েছি।’’

Advertisement

লেবুবাবু বলেন, ‘‘আসাদুল্লা মোজমপুরের তৃণমূলের পর্যবেক্ষক। তাই দলের কর্মী হিসেবে আমার সঙ্গে ছিলেন। তিনি ওয়ান্টেড হলে পুলিশ কেন গ্রেফতার করছে না? ওয়ান্টেড হলেই কেউ আসামী হয়ে যায় না। আদালতে প্রমাণ হলেই আসামী বলা যায়।’’ আসাদুল্লার দাবি, হাইকোর্ট থেকে তিনি জামিন নিয়েছেন। বিরোধীরা মিথ্যে অভিযোগ করছেন।

বছর দু’য়েক আগে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে একাধিক বার উত্তপ্ত হয়েছিল মালদহের কালিয়াচকের মোজমপুর। ওই এলাকায় গুলি, বোমা নিয়ে লড়াই নিত্য দিনের হয়ে উঠেছিল। সেই সংঘর্ষে নাম জড়িয়েছিল ব্লক তৃণমূল নেতা আসাদুল্লা বিশ্বাসের। তাঁর নামে কালিয়াচক থানায় অভিযোগও দায়ের হয়েছিল। ২০১৪ সালের ১০ সেপ্টেম্বর একটি খুনের মামলাতেও নাম জড়িয়ে যায় তৃণমূল নেতা আশাদুল্লা বিশ্বাসের। আসাদুল্লা বাম জমানায় এলাকায় সিপিএম কর্মী হিসেবে পরিচিত ছিলেন। রাজ্যে পরিবর্তনের পর তিনিও তৃণমূলে যোগ দান করেন। ভোটের আগে আসাদুল্লাকে গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন কংগ্রেস নেত্রী মৌসম নূর। দাবি জানানো হয়েছে নির্বাচন কমিশনেরও কাছে। মালদহের পুলিশ সুপার সৈয়দ ওয়াকার রেজা বলেন, ‘‘কয়েকটি ঘটনায় আসাদুল্লার নাম অভিযোগে ছিল। তবে এখনও পর্যন্ত ওয়ান্টে়ডে তার নাম পাওয়া যায়নি। আমরা খোঁজ খবর করে দেখছি।’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement