মালদহেও বিরোধীদের কটাক্ষ অভিষেকের

দুই দিনাজপুরের পর শুক্রবার মালদহের প্রকাশ্য জনসভাতেও মূলত নেত্রী বন্দনায় সিংহভাগ সময় ব্যয় করলেন যুব তৃণমূলের সভাপতি তথা সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। একই সঙ্গে উন্নয়নের প্রশ্নে বিঁধলেন বিরোধীদের।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মালদহ শেষ আপডেট: ০৪ জুলাই ২০১৫ ০২:৪৫
Share:

মালদহের জনসভায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। —নিজস্ব চিত্র।

দুই দিনাজপুরের পর শুক্রবার মালদহের প্রকাশ্য জনসভাতেও মূলত নেত্রী বন্দনায় সিংহভাগ সময় ব্যয় করলেন যুব তৃণমূলের সভাপতি তথা সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। একই সঙ্গে উন্নয়নের প্রশ্নে বিঁধলেন বিরোধীদের। এদিন ইংরেজবাজারের রামকৃষ্ণপল্লিতে জনসভা করেন অভিষেক। জেলার দুই কংগ্রেস সাংসদকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করে তিনি বলেন, ‘‘যাঁদের আপনারা ভোট দিয়ে জিতিয়েছেন, তাঁরা উন্নয়নের কথা বলেন না। সাধারণ মানুষের দাবি নিয়ে রাস্তায় নামেন না। মৌসমকে আমি সংসদে কোনওদিন আন্দোলনে দেখিনি। বরকতদা যদি বেঁচে থাকতেন, তা হলে তিনিও এতদিনে তৃণমূলে যোগ দিয়ে দিতেন। ’’

Advertisement

অভিষেকের এই মন্তব্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন জেলা কংগ্রেসের সভানেত্রী তথা সাংসদ মৌসম নূর। তিনি বলেন, ‘‘আমরা সংসদে কিছু বলি কি না, তার প্রমাণ আছে। আর মালদহের উন্নয়নের জন্য মালদহবাসীর কথা ভাবার জন্য আমরা আছি। অভিষেকবাবুর কাছে আমার আর্জি, উনি নিজের সংসদ এলাকার উন্নয়নের কথা বেশি করে ভাবুন। আর বরকতদা বেঁচে থাকতেই তৃণমূল তৈরি হয়েছিল। উনি তৃণমূলে যাননি। কারণ উনি বেইমান নন।’’

এ দিন রামকৃষ্ণ ময়দানে যুব তৃণমূলের সভায় জেলার দুই মন্ত্রী কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরী, সাবিত্রী মিত্র ছাড়াও জেলার একাধিক নেতা উপস্থিত ছিলেন। ছিলেন বাংলা সিনেমার নায়ক সোহম চক্রবর্তী, গায়ক ইন্দ্রনীল সেন। সভা শুরু হয় বেলা তিনটে নাগাদ। যুব তৃণমূল সভাপতির কনভয় যাতে বিনা বাধায় সভায় পৌঁছতে পারে তার জন্য রথবাড়ি থেকে মঙ্গলবাড়ি পর্যন্ত ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের এক দিক প্রায় আধঘণ্টা বন্ধ করে রাখে পুলিশ। এর ফলে যানজটে নাকাল হন মানুষ।

Advertisement

সভায় ২৬ মিনিটের বক্তৃতায় জেলার কংগ্রেসের নেতৃত্বের পাশাপাশি রাজ্য কংগ্রেস, বিজেপি এবং সিপিএমকে কটাক্ষ করেন অভিষেক। তিনি বলেন, ‘‘বিজেপি ভাবছে সিবিআইকে ব্যবহার করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে রোখা যাবে। তাঁরা যত বেশি রোখার চেষ্টা করবে মুখ্যমন্ত্রীর উন্নয়নের রথ তত বেশি এগিয়ে যাবে। ২০১৪ থেকে ২০১৫ সালে নির্বাচনে সারদাকে হাতিয়ার করেছিল বিরোধীরা। বাংলার মানুষ তার জবাব দিয়েছেন। ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনেও বিরোধীরা সারদাকে হাতিয়ার করবে। আর বাংলার মানুষ মুখ্যমন্ত্রীকে মা সারদা করে ফের মহাকরণে বসাবেন।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement