উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুরের তৃণমূল বিধায়ক আব্দুল করিম চৌধুরী। — ফাইল চিত্র।
তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডাকা কলকাতার কালীঘাটের বৈঠকে আজ, শুক্রবার থাকবেন না বলে দাবি করলেন উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুরের তৃণমূল বিধায়ক আব্দুল করিম চৌধুরী। বৃহস্পতিবার বিকেলে এই বর্ষীয়ান নেতা করিম বলেন, “পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে কলকাতায় বৈঠক ডেকেছে। সেখানে দলীয় নেতৃত্বের কথা শুনতে হবে। বলার জায়গা নেই। তাই বৈঠকে যাচ্ছি না।”
উত্তর দিনাজপুরে দলের অন্দরের ‘গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে’ জেরবার তৃণমূল। জেলা তৃণমূল সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়ালের সঙ্গে করিমের ‘দ্বন্দ্ব’ নতুন নয়। সম্প্রতি ইসলামপুরের মাটিকুণ্ডায় এক সিভিক ভলান্টিয়ার খুনের পরে সে ‘দ্বন্দ্ব’ ফের মাথাচাড়া দেয়। কানাইয়া ও তাঁর ‘ঘনিষ্ঠ’ দলের ইসলামপুর ব্লক সভাপতি জাকির হোসেনকে পদ থেকে সরানোর দাবিতে অনুগামীদের নিয়ে রাস্তায় নামেন করিম। দলনেত্রী-সহ রাজ্য নেতৃত্বের ভূমিকা নিয়ে সরব হয়ে ‘বিধায়ক’ পদ থেকে ইস্তফার হুমকি দিয়ে নিজেকে ‘বিদ্রোহী’ বলে দাবি করেন।
পঞ্চায়েত ভোটের আগে, জেলায় ‘দ্বন্দ্ব’ মেটাতেই তৃণমূলের ‘কোর’ কমিটির বৈঠক ডাকা হয়েছিল। বুধবার রায়গঞ্জের সে বৈঠকে জেলার বিধায়কেরা ছাড়া, ছিলেন ব্লক ও দলের বিভিন্ন শাখা সংগঠনের নেতৃত্বরা। ওই বৈঠকেও যাননি করিম। সেখানে তৃণমূলের শিক্ষাকর্মী সংগঠনের জেলা সভাপতি তথা রায়গঞ্জ শহর তৃণমূলের সহ-সভাপতি তপন নাগকেও ডাকা হয়নি বলে অভিযোগ।
যদিও বৈঠকে অনুপস্থিতি প্রসঙ্গে করিমের বক্তব্য, “কানাইয়ার সঙ্গে সমঝোতার প্রশ্নই নেই। কানাইয়া ও ব্লক তৃণমূল সভাপতি জাকির হোসেনের মদতে ইসলামপুরে খুন, মারপিট, সন্ত্রাস ও দলে দ্বন্দ্ব লেগে রয়েছে। তবুও ওঁদের পদ থেকে সরানো হচ্ছে না বা দল ব্যবস্থা নিচ্ছে না।” এ প্রসঙ্গে করিমের নাম না করে কানাইয়ার বক্তব্য, “কেউ কেউ ইচ্ছে করে দলে দ্বন্দ্ব লাগিয়ে রেখেছেন। কোর কমিটির বৈঠকে সবাইকে এক হয়ে চলার নির্দেশ দিয়েছি।”