শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ রাজ্য সড়কে
Crime Against Woman

‘ধর্ষণের পরে খুন’ ছাত্রীকে

পরিবারের দাবি, বৃহস্পতিবার রাতে স্ত্রীকে নিয়ে বাড়ি থেকে দশ কিলোমিটারের দূরের একটি মেলায় আইসক্রিম বিক্রি করতে যান মৃত কিশোরীর বাবা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মালদহ শেষ আপডেট: ২০ জুলাই ২০২৪ ০৮:৩২
Share:

—প্রতীকী চিত্র।

স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের পরে, খুনের অভিযোগে তেতে উঠল মালদহের একটি গ্রাম। শুক্রবার সকালে অভিযুক্তের শাস্তির দাবিতে রাজ্য সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখান গ্রামের মহিলারা। অবরোধ তুলতে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়ে পুলিশ। অভিযোগ, নাবালক ভাইকে ঘরে আটকে রেখে মেয়েটিকে ধর্ষণের পরে পুকুরে চুবিয়ে খুন করেছে গ্রামের প্রতিবেশী এক যুবক। শুক্রবার দুপুরে পুলিশে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন নিহত ছাত্রীর বাবা।

Advertisement

পুলিশ জানিয়েছে, কিশোরীর দেহটি ময়না-তদন্তের জন্য মালদহ মেডিক্যাল কলেজে পাঠানো হয়েছে। ময়না-তদন্তের পরেই ধর্ষণের বিষয়টি স্পষ্ট হবে। এরই পাশাপাশি, অভিযুক্ত যুবককে গ্রেফতার করে মালদহ জেলা আদালতে হাজির করানো হলে সাত দিন পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়। এ দিন জেলা পুলিশ সুপার প্রদীপকুমার যাদব বলেন, ‘‘অভিযুক্ত যুবককে গ্রেফতার করে খুনের কারণ জানার চেষ্টা চলছে। গ্রামের পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক রয়েছে।’’

পরিবারের দাবি, বৃহস্পতিবার রাতে স্ত্রীকে নিয়ে বাড়ি থেকে দশ কিলোমিটারের দূরের একটি মেলায় আইসক্রিম বিক্রি করতে যান মৃত কিশোরীর বাবা। সাত বছরের ভাইকে নিয়ে রাতে বাড়িতে একাই ছিল মেয়েটি। সে অষ্টম শ্রেণিতে পড়ত। অভিযোগ, রাত ১টা নাগাদ বাড়ির টিনের ছাদে অভিযুক্ত ঢিল মারে। শব্দ পেয়ে মেয়েটি বেরোলে ওই যুবক বাইরে থেকে দরজা বন্ধ করে, তার ভাইকে ঘরে আটকে দেয়। ছাত্রীটিকে বাড়ির পিছনের দিকে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণের পরে পুকুরের জলে ডুবিয়ে খুন করা হয় বলে অভিযোগ। ঘটনার পরে পালিয়ে গেলেও, রাতে ‘সন্দেহজনক’ ভাবে ঘোরাফেরা করতে দেখে ওই যুবককে আটক করে পুলিশ। সূত্রের দাবি, জিজ্ঞাসাবাদের সময়ে সে পুলিশের কাছে খুনের কথা ‘স্বীকার’ করে। যুবকের কথা শুনে পুলিশ গিয়ে মেয়েটির দেহ উদ্ধার করে।

Advertisement

ছাত্রীর বাবা বলেন, “বাড়ির পাশে আত্মীয়দের বাড়ি রয়েছে। ছেলে-মেয়েকে বাড়িতে রেখে স্ত্রীকে নিয়ে মেলায় আইসক্রিম বিক্রি করতে যাই। পরে শুনি, আমার মেয়েকে ধর্ষণের পরে পুকুরের জলে চুবিয়ে খুন করা হয়েছে। পুলিশে অভিযোগ জানিয়েছি।” এ দিন সকাল সাড়ে ৬টা থেকে ৯টা পর্যন্ত রাজ্য সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে অভিযুক্তের শাস্তির দাবিতে গ্রামবাসী বিক্ষোভ দেখান। গ্রামের এক মহিলা বলেন, “বাড়িতে ঢুকে মেয়েকে খুন করা হল। মেয়েরা এখন কোথায় নিরাপদ? দোষীকে কঠোর শাস্তি চাই।”

পুলিশের দাবি, ধৃত যুবক এবং নাবালিকার মধ্যে ‘ঘনিষ্ঠতা’ ছিল। মেয়েটি বিয়ে করতে বললে যুবক অস্বীকার করে। তাতে মেয়েটি পুলিশে জানানোর হুঁশিয়ারি দেয়। এর পরেই, মেয়েটির উপরে হামলার ছক কষা হয়।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement