প্রতীকী ছবি
কারও একার কথায় জেলায় তৃণমূল চলবে না। এখন থেকে সকলের সঙ্গে আলোচনা করেই দক্ষিণ দিনাজপুরে দলের কর্মসূচি ঠিক করা হবে বলে ঘোষণা করলেন তৃণমূলের নতুন জেলা সভাপতি তথা গঙ্গারামপুরের বিধায়ক গৌতম দাস।
রবিবার বালুরঘাটে সাংবাদিক বৈঠক ডেকে তিনি স্পষ্ট বার্তা দেন, নেতা নয়, সবার উপরে দল। এ দিন দলের নবনিযুক্ত চেয়ারম্যান তথা বালুরঘাটের প্রবীণ নেতা, প্রাক্তণ মন্ত্রী শঙ্কর চক্রবর্তী, যুগ্ম কনভেনার সুভাষ চাকি, ললিতা টিগ্গাদের সঙ্গে নিয়ে গৌতম জানান, দলে সবাই সমান। তিনি আরও বলেন, ‘‘কেউ দলে ফিরতে চাইলে দল স্বাগত জানাবে।’’ এর সঙ্গে প্রাক্তন সভাপতি বিপ্লব মিত্রের তৃণমূলে ফেরার বিষয়টি জড়িত কি না—সাংবাদিকদের এই প্রশ্নের উত্তরে গৌতম বলেন, ‘‘তা রাজ্যের ব্যাপার।’’
দল সূত্রেই খবর, এ ভাবেই দায়িত্ব পেতেই কাজ শুরু করে দিয়েছেন গৌতম দাস। জেলার বিভিন্ন প্রান্তের ছোট, বড়, মেজো নেতাদের সঙ্গে অনবরত বৈঠক করছেন। দিচ্ছেন একসঙ্গে চলার বার্তা।
গৌতমের কথায়, ‘‘ব্যক্তিগত ছোটখাটো সমস্যা যদি কোথাও থাকে, তা মিটিয়ে একসঙ্গে চলতে হবে।’’
জেলায় তৃণমূলের সাংগঠনিক রাজনীতিতে একেবারেই নবাগত গৌতম৷ গত পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময়ে তৎকালীন জেলা সভাপতি বিপ্লব মিত্রের হাত ধরে তৃণমূলে যোগ দেন তৎকালীন কংগ্রেস বিধায়ক। তারপর থেকে দলের ‘একনিষ্ঠ কর্মী’ হিসেবেই পরিচিত ছিলেন তিনি। তৃণমূল সূত্রে খবর, দলের নীচু তলার কর্মী থেকে উপরতলার নেতাদের সঙ্গে বরাবর সুসম্পর্ক বজায় রেখে চলতেন সুবক্তা হিসেবে পরিচিত গৌতম। স্বচ্ছ ভাবমূর্তির জন্য শীর্ষ নেতৃত্বের নজরে পড়েন গৌতম। মাসখানেক আগে তাঁকে জেলার কার্যকরী সভাপতি পদে বসান দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপরে জেলা সভাপতির মতো গুরুত্বপূর্ণ পদ দেওয়া হল তাঁকে। গৌতম জানালেন, আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের আগে এই পদ কতটা গুরুত্বপূর্ণ, তা নিয়ে তিনি ওয়াকিবহাল। আর তাই শুরু থেকেই তিনি সাংগঠনিক শক্তি বৃদ্ধিতে মন দিয়েছেন৷
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক তৃণমূল নেতা বলেন, ‘‘আগের সভাপতির সঙ্গে তো নীচুতলার কর্মীরা কথাই বলতে পারতেন না৷ কিন্তু গৌতমের ক্ষেত্রে সে অসুবিধা হবে না বলেই মনে হয়।’’ দল সূত্রে খবর, জেলায় তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের খবর বারবার প্রকাশ্য এসেছে। আর দলেরই একাংশ নেতা-কর্মীর দাবি, বিভিন্ন নির্বাচনে এ জন্য দলকে খেসারতও দিতে হয়েছে।
এ নিয়ে গৌতমের স্পষ্ট বার্তা, ‘‘নেতা নয়, দলের অনুগত হোন।’’