রীতেশ চিৎলাঙ্গিয়া। — নিজস্ব চিত্র।
বিদেশ থেকে ইস্পাত কিনে এনে তাতে নামী সংস্থার নকল ছাপ লাগিয়ে ব্যবসা ফেঁদে বসেছিলেন মালদহের ইংরেজবাজারের এক ব্যবসায়ী। ওই ‘নকল’ সামগ্রী বিক্রি করা হচ্ছিল আসলের চেয়ে অনেক কম দামে। দীর্ঘ দিন ধরেই রমরমিয়ে চলছিল ওই ব্যবসা। কিন্তু শেষ রক্ষা হল না। শনিবার ইংরেজবাজারের ওই ব্যবসায়ীর গুদামে হানা দেন নামী ওই সংস্থার প্রতিনিধিরা। উদ্ধার হয়েছে বিপুল পরিমাণ ‘নকল’ ছাপ লাগানো ইস্পাতের রড। ওই ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
ইংরেজবাজারের ব্যবসায়ী রীতেশ চিতলাঙ্গিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ, নির্মাণ কাজের জন্য ব্যবহার হয় এমন ইস্পাত তিনি চিন থেকে কিনে এনে এ দেশের এক নামী সংস্থার ছাপ লাগিয়ে সস্তায় বিক্রি করছিলেন। বছর পাঁচেক ধরে ওই কারবার চালাচ্ছিলেন বলে অভিযোগ। শনিবার সকালে তাঁর গুদামে হানা দেন ওই নামী সংস্থার কর্মীরা। রীতেশের গুদাম থেকে ‘নকল’ ছাপ লাগানো প্রচুর ইস্পাত উদ্ধার হয়েছে বলে দাবি করেছেন ওই সংস্থার প্রতিনিধিরা।
ওই সংস্থাটির লিগাল ম্যানেজার অখণ্ড কীর্তি বলেন, ‘‘আমাদের সংস্থার ছাপ ব্যবহার করে নির্মাণকাজের জন্য ব্যবহৃত ওই ইস্পাত বিক্রি হচ্ছিল কম দামে। আমরা বিষয়টি জানতে পেরে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করি। ওই ব্যবসায়ীর সঙ্গে আমাদের সংস্থার কোনও চুক্তি ছিল না। কিন্তু তা সত্ত্বেও উনি আমাদের সংস্থার ছাপ নকল করে ইস্পাত সামগ্রী বিক্রি করছিলেন। এ রাজ্যে আমাদের কোনও প্রোডাকশন ইউনিট নেই। উনি জনসাধারণকে প্রতারণা করছিলেন। ওঁর গুদামে নকল ছাপ লাগানো এত ইস্পাত পাওয়া গিয়েছে যে, আমরা অবাক হয়ে গিয়েছি।’’
ইংরেজবাজারে স্থানীয় মহলে অতি পরিচিত মুখ রীতেশ। তাঁর বিরুদ্ধে প্রতারণা, সংস্থার ছাপ নকল করা-সহ নানা ধারায় মামলা দেয়র করা হয়েছে। এ ছাড়া স্বত্বাধিকার আইনেও মামলা দায়ের হয়েছে। রীতেশের অবশ্য দাবি, ‘‘আমি ওঁদের ডিস্ট্রিবিউটর নই। আমি রড তৈরি করতাম। আমি ওঁদের নাম ব্যবহার করেছি। কারণ ওঁদের থেকে আমরা জিনিসপত্র কিনি।’’
(গুরুতর অপরাধে অভিযুক্তকে ‘আপনি’ সম্বোধনে আপত্তি প্রকাশ করেন কেউ কেউ। কিন্তু আইনের বিচারে দোষী সাব্যস্ত হননি, এমন অভিযুক্তকে ‘আপনি’ সম্বোধনেরই পক্ষপাতী আনন্দবাজার অনলাইন)