Blast

নলকূপের পাশে আচমকা বিস্ফোরণ, কানফাটানো শব্দে কেঁপে উঠল মালদহের গ্রাম, ঘটনাস্থলে পুলিশ

স্থানীয় বাসিন্দাদের সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার মাঝরাতে আচমকা বিকট শব্দে কেঁপে ওঠে জানিপুর গ্রাম। কানফাটানো আওয়াজে চমকে ওঠেন তাঁরা।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

চাঁচল শেষ আপডেট: ০২ জুন ২০২৩ ১৪:২১
Share:

মালদহের গ্রামে বিস্ফোরণ। — নিজস্ব চিত্র।

আচমকা বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল গ্রাম। বৃহস্পতিবার এই ঘটনা ঘটেছে মালদহের চাঁচল থানার চন্দ্রপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের জানিপুর এলাকায়। প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে, বোমা বিস্ফোরণ ঘটেছে ওই এলাকায়। ঘটনাস্থলে তল্লাশি চালিয়ে পাওয়া গিয়েছে বেশ কয়েকটি বোমা।

Advertisement

স্থানীয় বাসিন্দাদের সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার মাঝরাতে আচমকা বিকট শব্দে কেঁপে ওঠে জানিপুর গ্রাম। কানফাটানো আওয়াজে চমকে ওঠেন তাঁরা। তাঁদের একাংশের সূত্রে জানা গিয়েছে, এর পর চার দিক ভরে যায় ধোঁয়ায়। তাঁরা বাতাসে বারুদের গন্ধ পেয়েছেন বলেও জানিয়েছেন। ইসমাতারা খাতুন নামে এক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, ‘‘রাতে প্রচণ্ড শব্দে ঘুম ভেঙে যায়। উঠে দেখি চারপাশে ধোঁয়া। তার পর থেকে আমরা আতঙ্কে রয়েছি। শুনেছি দু’জন আহত হয়েছেন। তবে তাঁরা কারা বা তাঁরা কোথায় সে সব জানা নেই।’’

স্থানীয় বাসিন্দাদের সূত্রেই জানা গিয়েছে, গ্রামে নলকূপের পাশে মজুত ছিল বোমা। তা থেকেই বিস্ফোরণ ঘটেছে বলে মনে করা হচ্ছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে, এখনও বোমা রয়েছে ওই জায়গায়। বৃহস্পতিবার রাতেই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় চাঁচল থানার পুলিশ। মাটির নীচে বস্তাবোঝাই করে বোমাগুলি রাখা ছিল বলে পুলিশ সূত্রে খবর। এ নিয়ে মালদহের পুলিশ সুপার প্রদীপ কুমার যাদব বলেন, ‘‘একটি বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। ঘটনাস্থলে গিয়েছে বম্ব স্কোয়াড। তদন্ত শুরু হয়েছে। কে বা কারা বোমা মজুত করেছিল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তল্লাশি চালিয়ে ২২টি তাজা বোমা উদ্ধার করা হয়েছে।’’

Advertisement

বিষয়টি নিয়ে তৃণমূলকে বিঁধেছেন বিজেপির মালদহের দক্ষিণ সাংগঠনিক জেলার সাধারণ সম্পাদক অম্লান ভাদুড়ি। তিনি বলেন, ‘‘বারুদের স্তূপের উপর দাঁড়িয়ে রয়েছে এই রাজ্য। প্রশাসনের নজরদারির অভাবে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা এই বোমা মজুত করছে।’’

তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরী বলেন, ‘‘সারা দেশে এমন বোমা-পিস্তল পাওয়া যাবে। এই রাজ্যের পুলিশ সজাগ এবং সর্তক। যারা এই ধরনের কাজ করবে তারা ছাড় পাবে না।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement