সাংবাদিক বৈঠকে গণইস্তফা তৃণমূল নেতাদের। নিজস্ব চিত্র।
নতুন ব্লক সভাপতি নাম ঘোষণার পর থেকে তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল প্রকাশ্যে। সাংবাদিক বৈঠক করে গণইস্তফার কথা ঘোষণা করলেন কোচবিহার তুফানগঞ্জের এক নম্বর ব্লকের বলরামপুর ২ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার তৃণমূলের অঞ্চল কমিটির সদস্যরা। যদিও জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব তা অস্বীকার করেছেন।
বুধবার বলরামপুর ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের ১২ জন বুথ সভাপতি-সহ মোট ৮০ জন সাংগঠনিক পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন। তাঁদের অভিযোগ, দলের নতুন ব্লক সভাপতি মনোজ বর্মণের মদতে বিজেপির লোকজন তৃণমূলে এসে পুরনো কর্মীদের প্রতিনিয়ত হুমকি দিচ্ছেন। বার বার এ নিয়ে ব্লক এবং জেলা নেতৃত্বকে জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি বলে অভিযোগ।
বলরামপুর ২ অঞ্চলের তৃণমূল অঞ্চল সম্পাদক দিলীপচন্দ্র বর্মণ বলেন, ‘‘গত লোকসভা এবং বিধানসভা নির্বাচনে যারা বিজেপির হয়ে কাজ করেছে, যারা তৃণমূল কর্মীদের বাড়িঘর ভাঙচুর করেছে, তৃণমূল কর্মীদের উপর অত্যাচার করেছে, তারাই এখন তৃণমূলের ঝান্ডা নিয়ে পুরনো তৃণমূল কর্মীদেরই হুমকি দিচ্ছে। মূলত নতুন ব্লক সভাপতি নাম ঘোষণার পর এই যোগদান হচ্ছে। তারা এমনও হুমকি দিচ্ছে যে, আগামী দিনে দল করতে হলে তাদের নির্দেশে মেনে চলতে হবে!’’ তিনি জানান, এই পরিস্থিতিতে তাঁরা দলের সাধারণ কর্মী হিসাবে তৃণমূলকে সমর্থন করে যাবেন। কিন্তু দলের কোনও দায়িত্বে থাকবেন না।
এ নিয়ে নতুন ব্লক সভাপতির প্রতিক্রিয়া মেলেনি। তবে কোচবিহার জেলা তৃণমূল সভাপতি অভিজিৎ দে ভৌমিকের দাবি, ‘‘দলের কোনও পদাধিকারী ইস্তফা দেননি। যাঁরা সাংবাদিক বৈঠক করেছেন, তাঁদের মধ্যে কেউই বুথ বা অঞ্চল সভাপতি নয়।’’ তাঁর অভিযোগ, ‘‘স্থানীয়দের সাজিয়ে নিয়ে বসিয়ে সাংবাদিক বৈঠক করা হয়েছে। এটা কারা করেছেন, সমস্ত বিষয় খতিয়ে দেখা হবে।’’