Flood

গদাই চরে জলবন্দি ৭ হাজার, ত্রাণ দাবি

শনিবার রাত থেকে মালদহে গঙ্গা বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে। রবিবার রাতের দিকে জলস্তর কিছুটা কমেছিল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মালদহ শেষ আপডেট: ২৫ অগস্ট ২০২০ ০২:৪৮
Share:

প্রতীকী ছবি।

মালদহে গঙ্গার জলস্তর বাড়ছেই। তাতে মানিকচক ব্লকের গদাই চরের পরিস্থিতি আরও অবনতি হল। স্থানীয় সূত্রে খবর, তিন দিন ধরে গদাই চরের প্রায় সাত হাজার বাসিন্দা জলবন্দি। সোমবার বিকেল পর্যন্ত সেখানে ত্রাণ পৌঁছয়নি বলে অভিযোগ। মানিকচক ব্লকের ভূতনিতে গঙ্গা ও কোশী নদীর সংযোগস্থল কেশরপুরেও গঙ্গা ভাঙন শুরু হয়েছে। ভাঙন চলছে কালিয়াচক ৩ ব্লকের চর বাহাদুরপুর, গোলাপমণ্ডল পাড়া ও পার পরানপাড়াতেও। তবে প্রশাসনিক সূত্রে খবর, ফুলহার ও মহানন্দা নদীর জলস্তর কমছে।

Advertisement

শনিবার রাত থেকে মালদহে গঙ্গা বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে। রবিবার রাতের দিকে জলস্তর কিছুটা কমেছিল। কিন্তু সোমবার সকাল থেকে ফের তা বাড়তে শুরু করে। সেচ দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার সকালে গঙ্গার জলস্তর ছিল ২৪.৭৬ মিটার। যা বিপদসীমার চেয়ে ৭ সেন্টিমিটার বেশি।

এ দিকে, গঙ্গাবক্ষে থাকা গদাই চরের বেশিরভাগ ঘরবাড়িতে জল ঢুকেছে। সেখানকার বাসিন্দা রামশরণ মাহাতো, কমল মাহাতো, সুবল সাহা বলেন, ‘‘তিন দিন ধরে জলবন্দি প্রায় সাত হাজার মানুষ। কিন্তু এখনও ত্রাণ মেলেনি।’’ মানিকচকের বিডিও সুরজিৎ পণ্ডিত অবশ্য বলেন, ‘‘পঞ্চায়েতের মাধ্যমে ত্রাণ পাঠানো হচ্ছে।’’

Advertisement

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কোশীঘাট এলাকায় গঙ্গা ও কোশী নদীর সংযোগস্থলে ভাঙন শুরু হয়েছে। যেখানে ভাঙন হচ্ছে সেখান থেকে নদীর বাঁধ এখন প্রায় ৭০ থেকে ৮০ মিটার দূরে। কিন্তু ভাঙন চলতে থাকলে বাঁধ ভেঙে গোটা ভুতনি প্লাবিত হতে পারে বলে আশঙ্কা ছড়িয়েছে। ভাঙন চলছে কালুটোনটলাতেও। জেলা পরিষদ সদস্য ডলি মণ্ডল বলেন, ‘‘দ্রুত যাতে ভাঙন রোধের কাজ শুরু করা যায় সে ব্যাপারে সেচ দফতরকে জানিয়েছি। গদাই চরের বাসিন্দাদের ত্রাণের ব্যাপারে ব্লক প্রশাসনকে জানানো হয়েছে।’’ জেলা পরিষদের সভাধিপতি গৌরচন্দ্র মণ্ডল বলেন, ‘‘ভুতনির কিছু জায়গায় ভাঙন শুরু হয়েছে। সেচ দফতরের কর্তাদের বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখতে বলা হয়েছে। গদাই চরের জলবন্দি মানুষদের কাছে ত্রাণ পৌঁছনোর ব্যাপারে জেলা প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলা হয়েছে।’’ সেচ দফতরের মালদহ ডিভিশনের নির্বাহী বাস্তুকার প্রণব সামন্ত বলেন, ‘‘ভুতনির কেশরপুরে অস্থায়ী ভাবে ভাঙন প্রতিরোধের কাজ করা যায় কিনা তা দেখা হচ্ছে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement