অপ্রতিরোধ্য: আটষট্টিতেও নট আউট তায়েব আলি। নিজস্ব চিত্র
চারদিক ঢাকা ঘন কুয়াশায়৷ মাঝে মধ্যেই বয়ে আসছে কনকনে ঠান্ডা বাতাস৷ কিন্তু বৃহস্পতিবার সকালের দশ কিলোমিটার দীর্ঘ ম্যারাথনই যেন উত্তেজনার পারদ কয়েকগুণ বাড়িয়ে দিল জলপাইগুড়ি শহরের৷
খেলাধূলোর প্রসারের লক্ষ্যে ২০১৬ সাল থেকে জলপাইগুড়ি শহরে এই ম্যারাথন দৌড়ের আয়োজন করে আসছে পুরসভা৷ যার পৌশাকি নাম ‘জলপাইগুড়ির জন্য দৌ-রান৷’
৬১৮ জন অ্যাথলিটকে নিয়ে এ দিন শুরু হয় এই ম্যারাথন৷ যার মধ্যে কেনিয়া থেকে একজন, ভুটান থেকে চারজন ও পশ্চিমবঙ্গের বাইরে থেকে ৬৮জন অ্যাথলিট যোগ দেন৷ সকাল আটটায় এই ম্যারাথনের সূচনা করেন জলপাইগুড়ি পুরসভার চেয়ারম্যান মোহন বসু৷ তিনি বলেন, ‘‘এদিনের ম্যারাথনে মানুষ ব্যাপক সাড়া দিয়েছেন৷ আগামী বছর আরও বড় করে এই ম্যারাথনকে আয়োজন করা হবে৷’’ তবে এদিনের ম্যারাথনে অংশ না নেওয়ায় বিরোধীদের কটাক্ষও করেন তিনি৷
জলপাইগুড়ি পুরসভার সামনে থেকেই এই ম্যারাথন শুরু হয়৷ শহরের বিভিন্ন এলাকা দিয়ে দশ কিলোমিটার রাস্তা অতিক্রম করে ফের পুরসভার সামনেই তা শেষ হয়৷ ম্যারাথন দেখতে এই দশ কিলোমিটার রাস্তার দুধারেই তখন প্রচুর মানুষ ভিড় করে দাঁড়িয়ে৷ কেনিয়া থেকে আসা অ্যাথলিটকে ঘিরে মানুষের মধ্যে প্রত্যাশা থাকলেও মাঝপথেই রাস্তায় পড়ে গিয়ে প্রতিযোগিতা থেকে ছিটকে যান তিনি৷
প্রথম হয়ে এক লক্ষ টাকার নগদ পুরস্কার জিতে নেন উত্তর প্রদেশের বাসিন্দা অভিষেক পাল৷ দ্বিতীয় হয়ে ৭৫ হাজার টাকা জিতেছেনকর্ণাটকের প্রভেশ৷ তৃতীয় হয়েছেন উত্তরপ্রদেশের রঞ্জিত কুমার পাতিল৷ তিনি পেয়েছেন ৫০ হাজার টাকা৷ আর কলকাতার শুভঙ্কর ঘোষ চতুর্থ স্থান অধিকার করে ৪ ০হাজার টাকার আর্থিক পুরস্কার পেয়েছেন৷ প্রথম দশজনে থাকা বাকিরাও আর্থিক পুরস্কার পেয়েছেন৷ তবে সেই তালিকায় রাজ্যে একমাত্র জায়গা পেয়েছেন শুভঙ্করই৷ পুর উৎসব কমিটির আহ্বায়ক তথা চেয়ারম্যান পরিষদের সদস্য সৈকত চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘যে ভাবে বাসিন্দারা অংশ নিয়েছেন তাতে আমরা উৎসাহিত।’’
তবে জয়ী হতে না পারলেও, অনেককে পেছনে ফেলে দৌড় শেষ করে নজর কেড়েছেন বেলাকোবার বাসিন্দা তায়েব আলি আহমেদ৷ বন দফতরের প্রাক্তন এই বিট অফিসারের বয়স ৬৮ বছর৷ তাঁর কথায়, ‘‘বয়স কোন ফ্যাক্টর নয়৷ যত দিন পারব দৌড়ব৷’’