দিশাহারা: দুর্ঘটনায় জখম ছেলের চিন্তা। নিজস্ব চিত্র
লকডাউনে কাজ হারিয়ে ঘরে ফিরে এসেছিলেন, কিন্তু পছন্দের কাজ না পেয়ে ফের পুরনো কর্মস্থলে পাড়ি দিয়েছিলেন ৯ জন। আট জনের বাড়ি উত্তর দিনাজপুরের করণদিঘির বিভিন্ন এলাকায়। এক জন ইসলামপুরের বাসিন্দা। পুলিশ সূত্রে খবর, রবিবার সকালে ছত্তীসগঢ়ে সড়ক দুর্ঘটনায় তাঁদের চার জনের মৃত্যু হয়েছে। জখম চালক-সহ ৬ জন। শুক্রবার করণদিঘি থেকে রওনা হয়েছিলেন তাঁরা।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, মৃতদের নাম শ্যামল সিংহ (১৯), মিঠুন সিংহ (২০), ভরত রবিদাস (১৯)। তাঁদের বাড়ি করণদিঘির গড়ুলভাষায়। মৃত অন্য শ্রমিক রণজিৎ রায়ের বাড়ি ইসলামপুরের কুন্দুরগাঁওয়ে। ভরতের ভাগ্নে রণজিৎ। মামার সঙ্গে রণজিৎ এ বারই প্রথম ভিন্ রাজ্যে কাজের খোঁজে যাচ্ছিলেন। ছত্তীসগঢ়ের সামোই জেলায় ট্রাকের সঙ্গে শ্রমিক-বোঝাই গাড়ির সংঘর্ষ হয়।
দুর্ঘটনায় মৃত মিঠুনের বাবা গণেশ বলেন, ‘‘ছেলেকে বারণ করেছিলাম। কথা শুনল না।‘‘ শ্যামলের বাবা বাসু সিংহ বলেন, ‘‘ছেলে ২ বছর ধরে ভিন্ রাজ্যে কাজে করছিল। ওর আয়েই সংসার চলত। এখন কী হবে?‘‘ ভরতদের ঘরেও অভাব। সেখানে থাকত রণজিৎও। সংসারের খরচ জোগাড়েই দু’জনে যাচ্ছিলেন ভিন্ রাজ্যে। একমাত্র ছেলে এবং নাতিকে হারিয়ে কালীচরণ বলেন, ‘‘ছেলে ২ মাস আগে বাড়ি ফিরেছিল। এ বার সঙ্গে নাতিকে নিয়ে গেল। বলেছিল, পুজোর সময় ফিরবে। এখন আমার কী হবে?’’
স্থানীয় বিধায়ক মনোদেব সিংহ জানান, মৃতদের পরিবারকে আর্থিক সাহায্যের বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে আবেদন জানাবেন।