অভিযুক্ত ছাত্র

হস্টেলে ডেকে এনে সহবাস! উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালে তুলকালাম

বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের হস্টেলে নিয়ে সহবাসের অভিযোগ উঠেছে তৃতীয়বর্ষের এক ছাত্রের বিরুদ্ধে। উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ঘটনা। বুধবার দিনভর তা নিয়ে নাটক চলে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ০৩ নভেম্বর ২০১৬ ০০:৫৪
Share:

প্রতীকী চিত্র।

বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের হস্টেলে নিয়ে সহবাসের অভিযোগ উঠেছে তৃতীয়বর্ষের এক ছাত্রের বিরুদ্ধে।

Advertisement

উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ঘটনা। বুধবার দিনভর তা নিয়ে নাটক চলে। ভোরে তরুণীকে বাড়িতে পাঠানোর জন্য নৌকাঘাট লাগোয় শক্তিগড় এলাকায় বাস স্ট্যান্ডে নিয়ে গেলে তরুণী বাড়ি ফিরে যেতে রাজি হননি। তা নিয়ে দু জনের মধ্যে গোলমাল হয়। তা দেখে স্থানীয় এক চায়ের দোকানি এবং কয়েকজন ওই দুই জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। সে সময় তরুণীর অভিযোগ শুনে ওই দোকানি তাঁর পরিবারকে খবর দেয়। তারা গিয়ে ওই ছাত্রকে নিযে এনজেপি থানায় গিয়ে অভিযোগ জানাতে চান। মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালটি মাটিগাড়া থানার অধীনে বলে রাত সাতটা নাগাদ সেখান থেকে তাদের মাটিগাড়া থানাতে পাঠানো হয়। সেখানে ওই তরুণী ছাত্রটির বিরুদ্ধে তাঁকে ফুঁসলে সহবাসের অভিয়োগ করেছেন। হস্টেলের ঘরে বহিরাগত তরুণীকে এনে সহবাসের অভিযোগ ঘিরে হইচই পড়েছে ক্যাম্পাসে। কলেজের অধ্যক্ষ সমীর ঘোষ রায় বলেন, ‘‘বিষয়টি খোঁজ নিচ্ছি। এ ধরনের ঘটনা ঘটে থাকলে তা কখনই কাম্য নয়। এ দিন কেউ আমাকে এ ব্যাপারে জানায়নি।’’

পুলিশ এবং পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, মেয়েটি অভিযোগে জানিয়েছে সাত বছর ধরে তাঁর সঙ্গে ছাত্রটির যোগাযোগ রয়েছে। মঙ্গলবার রাতে হস্টেলে তাকে ডেকে নিয়ে গিয়েছিল। সেখানেই তারা ছিলেন। শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনার চেলিং সিমিক লেপচা বলেন, ‘‘অভিযোগকারী এবং অভিযুক্ত থানায় রয়েছে। অভিযোগ জানালেই পুলিশ ব্যবস্থা নেবে।’’

Advertisement

তরুণীর পরিবারের তরফে জানানো হয়, এ দিন শিলিগুড়ির নৌকাঘাট লাগোয়া শক্তিগড় এলাকার এক ব্যক্তি তাদের ফোনে খবর দিলে তারা সেখানে যান। ছেলেটি তরুণীকে বিয়েতে রাজি হলে তারা অভিযোগ করতে চাননি। ছাত্রটির পরিবারের তরফে বাধা দেওয়ায় সে ওই তরুণীকে বিয়ে করতে রাজি হয়নি। তা নিয়ে দুটি থানায় দিনভর নাটক চলে পুলিশের সামনেই। শেষে রাতে তরুণীর পরিবারের তরফে অভিযোগ জানানোর সিদ্ধান্ত হয়।

শক্তিগড়ের ওই চায়ের দোকানি অরুণ দাস বলেন, ‘‘মেয়েটিকে ছেলেটি ধাক্কা দিয়ে চলে যাচ্ছিল। মেয়েটি বারবার ছেলেটিকে আটকায়। প্রায় ঘণ্টাখানেক এই রকম চলার পর আমি ও কয়েকজন জিজ্ঞাসাবাদ করি। মেয়েটি অভিযোগ জানালে ছেলেটিকে বসিয়ে মেয়েটির পরিবারকে খবর দিয়েছি। ছেলেটি অবশ্য পরিবারের ফোন নম্বর দিতে চায়নি।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement