পঞ্চায়েত প্রধান অপসারণের চেষ্টাকে ঘিরে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে ৩ জন জখম হয়েছেন। ভাঙচুর হয়েছে দলীয় কার্যালয়। শনিবার রাতে দক্ষিণ দিনাজপুরের কুমারগঞ্জ ব্লকের দিওড় পঞ্চায়েতের ওই ঘটনার জেরে বালুরঘাটের বোল্লা এলাকায় তৃণমূলের কিসান মজদুর সংগঠনের অঞ্চল কার্যালয় ভাঙচুর ও দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে ধুন্ধুমার কান্ড ঘটে। জখম তিন জনের মধ্যে এক জনকে বালুরঘাট হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। বাকি দুজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা করাতে হয়েছে। ঘটনাস্থলে বিরাট পুলিশ বাহিনী গিয়ে বেশি রাত অবধি থেকে জমায়েত থেকে শাসক দলের ৭ জন কর্মীকে গ্রেফতার করে। কয়েক মাস আগে তপনের রামপাড়া চেঁচড়া অঞ্চলে সত্যেনপন্থী দলের প্রধানকে অপসারণের প্রক্রিয়া শুরু হতে খুন হয়ে যান বিপ্লবপন্থী ওই অঞ্চলের উপপ্রধান লুতফর রহমান। ফের একই ইস্যুতে দলের দুপক্ষের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনার খবরে রাজ্য নেতৃত্ব তুমুল ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখবেন বলে তৃণমূলের জেলা সভাপতি শঙ্কর চক্রবর্তী এদিন জানিয়েছেন।
ঘটনাকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের দুই প্রাক্তন বিধায়ক বিপ্লব মিত্র এবং সত্যেন রায় গোষ্ঠীর নেতারা পরস্পরের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ তুলে পুলিশের কাছে নালিশ জানিয়েছে। বালুরঘাট থানার আইসি সঞ্জয় ঘোষ বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এলাকায় পুলিশ পিকেট বসানো হয়েছে। তৃণমূল পরিচালিত দিওড় গ্রামপঞ্চায়েতের প্রধান অঞ্জলি টিগ্গার বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনার প্রক্রিয়া শুরু করা হয় বলে অভিযোগ। বিপ্লব মিত্র গোষ্ঠীর অঞ্চল তৃণমূল কিসান খেতমজুর কমিটির নেতা মফিজুদ্দিন মিঁয়ার অনুগামী ওই পঞ্চায়েত প্রধান অঞ্জলিদেবীকে সরাতে সত্যেন রায় গোষ্ঠীর ব্লক তৃণমূল সভাপতি উপেন মণ্ডলেরা এলাকার রসুলপুর সংসদের পঞ্চায়েত সদস্য শ্যামলী সরেনকে প্রধান পদপ্রার্থী হিসাবে তুলে ধরেন বলে দল সূত্রের খবর।