বন দফতর জানিয়েছে, ক্ষতিপূরণ পাবে না মৃতদের পরিবার। প্রতীকী ছবি
জঙ্গলের জ্বালানি কাঠ সংগ্রহ করতে গিয়ে হাতির হানায় মৃত্যু হল দুই মহিলার। গুরুতর আহত হয়েছেন এক জন। ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গরুমারা জাতীয় উদ্যান সংলগ্ন মূর্তি এলাকায়। স্থানীয় সূত্রে খবর, মঙ্গলবার গরুমারা দক্ষিণ রেঞ্জের জঙ্গলে এই ঘটনা ঘটে। হাতির হানায় নিহত দুই মহিলার নাম ববিতা ওঁরাও (৩৫) এবং মাফিজা খাতুন (৪৭)। গুরুতর আহত হন নুরজাহান বেগম নামে এক মহিলা। তাঁকে উদ্ধার করে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করা হয়। সেখানেই আপাতত চিকিৎসাধীন তিনি। নিহত ও আহতরা মেটেলি ব্লকের দক্ষিণ ধুপঝোরা এলাকার মুচিপাড়ার বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার ওই তিন মহিলা গরুমারা জঙ্গলে জ্বালানী কাঠ সংগ্রহ করতে গিয়ে বুনো হাতির সামনে পড়ে যান। ববিতা ও মাফিজাকে শুঁড়ে তুলে আছাড় মারে হাতিটি। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁদের। দীর্ঘ ক্ষণ তাঁরা বাড়ি না ফেরায় শুরু হয় খোঁজ। গরুমারার জঙ্গলের ভিতর দুই মহিলার নিথর দেহ পাওয়া যায়। অন্য জনকে সংজ্ঞাহীন অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশ।
মেটেলি থানার পুলিশ মৃতদেহ দু’টি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতালে পাঠায়। বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, যে হেতু সংরক্ষিত জঙ্গলের ভিতর মৃত্যু হয়েছে, তাই কোনও ক্ষতিপূরণ পাবে না মৃতদের পরিবার। সকালে মৃত ও আহতদের বাড়ি যান এলাকার গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য গঙ্গাদেব রায়-সহ এলাকার সমাজসেবী হোসেন হাবিবুল হাসান, বাপন রায় প্রমুখ। হাবিবুল বলেন, ‘‘কুনকি হাতির সাহায্যে খুঁজে বার করা হয় ওদের। মৃতদের বাড়িতে আমরা গিয়ে পরিবারের সঙ্গে কথা বললাম। বন দফতরের কাছে অনুরোধ করব, যাতে জঙ্গলে ভিতরে মানুষের প্রবেশ নিয়ে আরও বেশি সচেতনতা মূলক প্রচার চালান। আর জঙ্গলের ভিতর এ ভাবে প্রবেশ করা উচিত নয়।’’
জলপাইগুড়ির ওয়াইল্ড লাইফ ওয়ার্ডেন সীমা চৌধুরী বলেন, ‘‘বন দফতরের তরফে বার বার সচেতনতা মূলক প্রচার করা হয়। তার পরও এক শ্রেণির মানুষের হুঁশ ফেরেনি। এখনও মহিলারা জ্বালানি কাঠ আনতে জঙ্গলে ভেতরে প্রবেশ করেন। এটা বিপজ্জনক।’’