Coronavirus

করোনা সন্দেহে ভর্তি আরও দুই

জলপাইগুড়ি জেলা স্বাস্থ্য দফতরকেও বিষয়টি জানানো হয়েছে। সেই মতো তাদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গেও যোগাযোগ করছেন স্বাস্থ্য দফতরের প্রতিনিধিরা।

Advertisement

সৌমিত্র কুণ্ডু

শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ০২:১৯
Share:

ছবি: সংগৃহীত

তাইল্যান্ড থেকে ফেরা দুই যুবকের সর্দি, জ্বর হওয়ায় করোনাভাইরাসের সংক্রমণ কি না, সেই সন্দেহে তাঁদের উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালের আইশোলেশন ওয়ার্ডে (আইডি)-এ ভর্তি করানো হল। তাঁদের অনিমেষচন্দ্র দামকে বুধবারই ভর্তি করানো হয়েছে। অন্য জন, সুজিত বণিককে বৃহস্পতিবার ভর্তি করানো হয়েছে।

Advertisement

হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, দু’জনেরই সোয়াব এবং সুষুম্নারস পরীক্ষার জন্য নাইসেডে পাঠানো হয়েছে। অনিমেষের রিপোর্ট আজ শুক্রবারই চলে আসার কথা। অন্য জনের রিপোর্ট আসতে শনিবার পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে বলেই ধারণা কর্তৃপক্ষের। হাসপাতালের একটি সূত্রে জানা গিয়েছে, দিন চারেক আগে তাইল্যান্ড থেকে ফেরেন অনিমেষ। কলকাতা বিমানবন্দর হয়েই তিনি ফিরেছেন। সেখানে স্বাস্থ্য পরীক্ষার সময় উপসর্গ ছিল না। বাড়িতে ফিরে পরদিন থেকে জ্বর, সর্দি শুরু হয়। তাই তিনি উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালের বহির্বিভাগে দেখাতে গেলে তাঁকে আইডি-তে ভর্তি করান চিকিৎসকেরা। হাসপাতালের সুপার কৌশিক সমাজদার বলেন, ‘‘দু’জনকে জ্বর, সর্দি নিয়ে আইডিতে ভর্তি করানো হয়েছে। দু’জনই তাইল্যান্ডে ঘুরতে গিয়েছিলেন। বিদেশে যাওয়ার জন্য এবং ওই উপসর্গ দেখা দেওয়ায় তাঁদের হাসপাতালে আইডি-তে রেখে চিকিৎসা করা হচ্ছে। রিপোর্ট পেলে সেই মতো ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’ জলপাইগুড়ি জেলা স্বাস্থ্য দফতরকেও বিষয়টি জানানো হয়েছে। সেই মতো তাদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গেও যোগাযোগ করছেন স্বাস্থ্য দফতরের প্রতিনিধিরা। কেন না রিপোর্ট ‘পজিটিভ’ হলে বাড়ির সদস্যদেরও ‘কোয়ারেনটাইন’ করার প্রয়োজন হবে।

এর আগে ডালখোলার বাসিন্দা সিঙ্গাপুরের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক ছাত্রকে আইডিতে ভর্তি করানো হয়েছিল জ্বর, সর্দি থাকায়। তিনি নিজেই করোনা সন্দেহে উদ্বিগ্ন ছিলেন। প্রথমে রায়গঞ্জে এবং সেখান থেকে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে তাঁকে রেফার করা হয়েছিল। শ্বাসকষ্ট শুরু হলে তাঁকে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালের আইডিতে রেখে চিকিৎসা চলছিল। কিন্তু নাইসেডের রিপোর্টে তাঁর সোয়াব বা দেহরসে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ মেলেনি। শরীর সুস্থ হওয়ায় দুই দিন পর তাঁকে ছুটি দেওয়া হয়।

Advertisement

চিকিৎসা পরিষেবা দিতে গিয়ে আতঙ্কিত যাতে না হন, সে জন্য ইতিমধ্যেই চিকিৎসক এবং নার্সদের সচেতন করা হয়েছে। তবে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালের আইডি’র স্বাস্থ্যকর্মীদের বা নিরাপত্তা কর্মীদের এ-৯৫ মাস্ক বা পার্সোনাল প্রটেকটেড ইকুইমেন্ট (পিপিই) তথা বিশেষ পোশাক না দেওয়ায় কর্মীদের মধ্যে অসন্তোষ রয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement