আহত তৃণমূলকর্মী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। নিজস্ব চিত্র।
ভোটের আগেই তৃণমূলের গোষ্ঠী সংঘর্ষের অভিযোগে উত্তপ্ত হয়ে উঠল কোচবিহার জেলার দিনহাটা। রবিবার রাতের ওই ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়ে দু’জন তৃণমূলকর্মীর মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন পাঁচ জন। ঘটনার জেরে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়েছে ওই এলাকায়। স্থানীয় তৃণমূল নেতারা গোষ্ঠী সংঘর্ষের কথা স্বীকারও করে নিয়েছেন।
দিনহাটার গীতালদহ ২ গ্রাম পঞ্চায়েতে মরাকুঠি এলাকায় ঘটেছে এই ঘটনা। এলাকা দখল ঘিরেই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে। গীতালদহ ২ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় দীর্ঘ দিন ধরেই শাসকদলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে কোন্দল রয়েছে। ওই পঞ্চায়েতের প্রধানের বিরুদ্ধে একাধিক বার অনাস্থা প্রস্তাব এনেছিল শাসকদলের অপর এক গোষ্ঠী। বিষয়টি নিয়ে ৪ অক্টোবর কলকাতা হাই কোর্টে তলবি সভা ছিল। কিন্তু দিনহাটা বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচনের জন্য তা বাতিল করা হয়। ঘটনা নিয়ে তৃণমূলের প্রাক্তন ব্লক সভাপতি নূর আলম হুসেনের দাবি, গোষ্ঠী কোন্দলের জেরেই এই ঘটনা ঘটেছে।
বিষয়টি নিয়ে কোচবিহারের পুলিশ সুপার সুমিত কুমার বলেছেন, ‘‘বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক সীমান্তের কাছে মরাকুঠি গ্রামে গুলি চালনার ঘটনা ঘটেছে। স্থানীয় বিষয় নিয়েই দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষ বাধে। ঘটনায় দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। পাঁচ জন গুরুতর আহত হয়েছেন।’’ পুলিশ জানিয়েছে, মৃত ব্যক্তিদের নাম মান্নান হক এবং মুজফ্ফর হুসেন। ঘটনায় গুরুতর আহতরা হলেন দুলাল মিঞা, মিন্টু হক, দিলদার হুসেন, আবাইদুল হক এবং জাহাঙ্গির আলম। এর মধ্যে দিলদাল হুসেন গীতালদহ গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য এবং সংঘর্ষে জাহাঙ্গিরের ডান হাত কাটা গিয়েছে। তবে বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলতে চাইছেন না কোচবিহার জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। তৃণমূলের জেলা সভাপতি গিরীন্দ্রনাথ বর্মন বলেছেন, ‘‘বিষয়টি সম্বন্ধে আমার জানা নেই। না জেনে কোনও মন্তব্য করব না।’’