—প্রতীকী ছবি।
চলতি মাসে দু’দফায় পাঁচ দিন পরিচ্ছন্নতা অভিযান হয়েছে মালদহ জেলায়। কিন্তু তার পরেও বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি শুরু হতেই ডেঙ্গির সংক্রমণ বাড়তে শুরু করেছে। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, গত এক সপ্তাহে জেলায় ডেঙ্গিতে আক্রান্ত ১৫ জন। এর মধ্যে কালিয়াচক-২ ব্লকে ছ’জন আক্রান্ত হয়েছেন। লাগাতার বৃষ্টি হলে জমা জলে ডেঙ্গির জীবাণু বহনকারী মশা বৃদ্ধির কারণে ডেঙ্গির প্রকোপ বৃদ্ধির আশঙ্কা রয়েছে। জেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য দফতর জানিয়েছে, ডেঙ্গি প্রতিরোধে সচেতনতা প্রচার, পরিছন্নতা অভিযান, জমা জল ফেলে দেওয়া-সহ নানা কর্মসূচি নেওয়া হয়।
গত বছর মালদহে চার হাজার ৪২৭ জন ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছিলেন। যদিও আক্রান্তদের এক জনেরও মৃত্যু হয়নি বলে দাবি। এ বছর আগে থেকেই ব্যবস্থা নিতে শুরু করেছে স্বাস্থ্য দফতর ও জেলা প্রশাসন। গত ১১ থেকে ১৩ জুন এবং ২৪ ও ২৫ জুন জেলা জুড়ে পরিচ্ছন্নতা অভিযান চালানো হয়েছে। সেই অভিযানে জেলার সমস্ত হাসপাতাল, অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র, উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্র, স্কুল-কলেজ, হাটবাজার সাফাই করা হয়। কিন্তু তার পরেও ডেঙ্গির সংক্রমণ ভাবাচ্ছে। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, গত সাত দিনে ১৫ জন আক্রান্ত হয়েছেন। এঁদের মধ্যে কালিয়াচক-২ ব্লকে ছ’জন, ইংরেজবাজার ব্লকে চার জন করে, কালিয়াচক-১ ব্লকে দু’জন এবং ইংরেজবাজার শহর ও পুরাতন মালদহ, গাজল ব্লকে এক জন করে আক্রান্ত হয়েছেন। চলতি বছরের পয়লা জানুয়ারি থেকে শুক্রবার পর্যন্ত জেলায় ১৭৩ জন ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে এখনও পর্যন্ত ৩৪ জন ইংরেজবাজার ব্লকে, কালিয়াচক-১ ব্লকে ২৯ জন, কালিয়াচক-২ ব্লকে ২৬ জন ও কালিয়াচক-৩ ব্লকে ২০ জন আক্রান্ত হয়েছেন। দুই শহরে এখন পর্যন্ত আট জন করে আক্রান্ত হয়েছেন। বাকিরা অন্যান্য ব্লকের।
জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সুদীপ্ত ভাদুড়ি বলেন, ‘‘গত বছরের অভিজ্ঞতার নিরিখে এ বার বছরের শুরু থেকেই নানা কর্মসূচি নেওয়া হয়। প্রশাসনের সহযোগিতা নিয়ে জেলা জুড়ে পরিচ্ছন্নতা অভিযান, সচেতনতার প্রচার চলছে। মানুষ সচেতন থাকলে ডেঙ্গি মোকাবিলা করতে পারব।’’ জেলাশাসক নীতিন সিংহানিয়া বলেন, ‘‘ডেঙ্গি মোকাবিলায় চলতি মাসে ইতিমধ্যে আমরা পাঁচ দিন জেলা জুড়ে পরিছন্নতা অভিযান করেছি। এই অভিযান চলবে। দুই পুরসভা ও ত্রিস্তর পঞ্চায়েতকে ডেঙ্গি মোকাবিলার কাজ বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে করতে বলা হয়েছে।’’