ফ্রেমবন্দি: রং হচ্ছে মূর্তি। ধরে রাখা সেই স্মৃতিও। ছবি: সন্দীপ পাল
বারো কন্যা৷ এক ঝলকে দেখে কিছু বোঝার উপায় নেই৷ তবে একসঙ্গে একাধিক দুষ্কৃতীকে বাগে আনা তাঁদের কাছে কয়েক মুহূর্তের খেলা৷
দেবীপক্ষে এই বারো কন্যাই আলিপুরদুয়ার শহরের মহিলাদের নিরাপত্তায় সবচেয়ে বেশি ভরসা পুলিশ কর্তাদের কাছে৷ তাঁদের প্রত্যেকেই রাজ্য পুলিশেরই মহিলা কনস্টেবল৷ পুজোয় মহিলাদের নিরাপত্তার জন্য প্রতিদিন বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত সাধারণ পোশাকে মানুষের ভিড় মিশে থাকছেন তাঁরা৷ সেই ভিড়ে মিশেই কোনও মহিলার কেউ অশালীন আচরণ করতে যাচ্ছেন কি না তা নজর রাখছেন৷
আলিপুরদুয়ারে এখন বেলা থেকেই পুজোর বাজারে বাড়তে থাকে ভিড়৷ বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যায় সেই ভিড় আরও কয়েকগুণ বেড়ে যাচ্ছে৷ অনেক রাত পর্যন্তও বাজারে ক্রেতাদের দেখা যাচ্ছে৷ এই অবস্থায় ভিড়ে ঠাসা বাজারে মহিলাদের নিরাপত্তার জন্যই ওই বারোজন মহিলা পুলিশ কর্মীকে প্রতিদিন সাদা পোশাকে মোতায়েন করা হচ্ছে৷ আলিপুরদুয়ার থানার আইসি জয়দেব ঘোষ জানান, “বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত ভিড়ের মধ্যেই নজরদারি চালাচ্ছেন ওই বারো মহিলা পুলিশ কর্মী৷”
পুলিশ সূত্রের খবর, তাঁদের সঙ্গে ন’জন করে আধিকারিকের নেতৃত্বে উর্দিধারী পুলিশ কর্মীরাও থাকছেন৷ কারও কারও দায়িত্ব থাকছে সাদা পোশাকের মহিলা পুলিশ কর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করা৷ যাতে করে ওই মহিলা পুলিশ কর্মীরা কাউকে ধরে ফেললে উর্দিধারীরাও দ্রুত সেখানে ঝাঁপিয়ে পড়ে অভিযুক্তকে ধরে ফেলতে পারেন৷
জেলা পুলিশের এক কর্তা বলেন, এই বারো মহিলা পুলিশ কর্মীকে এখনও পর্যন্ত ‘অ্যাকশন’ করতে হয়নি ঠিকই, কিন্তু এই ব্যবস্থা অত্যন্ত কার্যকর৷ অতীত-অভিজ্ঞতা সেটাই বলে। তাই শুধু পুজোর বাজারেই নয়, পুজোর চারদিন ভিড়ে ঠাসা বিভিন্ন মণ্ডপেও এ ধরনের নজরদারি চালানোর পরিকল্পনা নিয়েছেন তাঁরা৷ সেখানে থাকবেন সাদা পোশাকের পুরুষ কর্মীরা।