ফাইন আর্টস অকাদেমি অফ নর্থ বেঙ্গল, জলপাইগুড়ির উদ্যোগে প্রদর্শিত হল নবীন ও প্রবীণ শিল্পীদের প্রায় একশোটি ছবির প্রদর্শনী। অ্যাক্রেলিক, প্যাস্টেল, জল রং, তেল রং, পেন ও কালির রচনার সমবেত উপস্থাপনায় অংশ নেন ৪০ জন শিল্পী। প্রদর্শনীতে স্থান পেয়েছিল কোলাজও। প্যাস্টেলে আঁকা রাঘব আগরওয়ালার ছবি ‘গুড মর্নিং’ বেস্ট প্যাস্টেল কালার ছবি হিসেবে পুরস্কৃত হয়। উদিত সূর্যের ব্যাকড্রপে পাহাড়, প্রাতঃরাশ টেবিলে চায়ের কাপ, পাখি, সূর্যমুখী ফুল সকালের অনুষঙ্গ বহন করে। বেস্ট ওয়াটার কালারের মার্যাদা পায় কৃষ্ণেন্দু মুখোপাধ্যায়ের অঙ্কিত কলাগাছের পাতায় দ্বিপ্রাহরিক আলো-ছায়ার খেলা। ‘ডুয়ার্স’ নামাঙ্কিত অ্যাক্রেলিকে আঁকা সোমা মণ্ডলের ছবিটিতে উঠে আসে মাটির পথ খুঁড়ে বেরিয়ে আসা দু’পাশের জঙ্গর মহল। কাপড়ের মধ্যে কাঁকড়া বিছে, তেল রঙে আঁকা ছবিটির শিল্পী তনুশ্রী দেবনাথ পান বেস্ট অয়েল পেন্টিংয়ের মার্যাদা। গাছের কোটরে জেগে থাকা প্যাঁচা নৈশ আবহ রচনা করে কালি ও কলমে আঁকা অরিজিৎ বসাকের ছবিটিতে। ছবিটি বেস্ট পেন অ্যান্ড ইঙ্কের জন্য নির্বাচিত হয়। অভ্রনীল সরকার কোলাজ মাধ্যমে নির্মাণ করেছেন রাজস্থানী নৃত্য। একই মাধ্যমে দেবপ্রিয়া সরকার উপস্থাপিত করেছেন সমুদ্রের পাশে ছাতার নীচে একটি মেয়ের অবসর মুহূর্ত। ব্যবহার করেছেন রঙিন পত্র-পত্রিকার পাতা। কোলাজ দুটি বেস্ট কোলাজ ও বেস্ট আর্টিস্টের পুরস্কার পায়। ভাসমান কাগজের নৌকা, বালুচরে জেগে থাকা শৈশব জল রঙে আঁকা অনির্বাণ ভাদুড়ির ছবিটি বেস্ট কম্পোজিশন হিসেবে পুরস্কৃত হয়। বিভিন্ন ধরনের ডাল, ধান ও চা-পাতা তৈরি করে স্মিতা ধর তৈরি করেছেন আলপনা দেবার মুহূর্তটি। পুরস্কারগুলি তুলে দেন চিত্রশিল্পী নীহার মজুমদার, ভাস্কর শিবেন চট্টোপাদধ্যায় ও চিত্রশিল্পী সৌরভ সরকার। আয়োজকদের পক্ষ থেকে সৌরভ সরকার জানান, প্রদর্শনীতে বিভিন্ন মাধ্যমের সাতটি ছবি বিক্রি হয়েছে—যা এ শহরের শিল্পীদের উৎসাহিত করবে।