মনোনয়নে অনেক এগিয়ে তৃণমূল। —প্রতীকী চিত্র।
পঞ্চায়েত নির্বাচনের মনোনয়ন জমা দেওয়ার নির্ধারিত সময় শেষ হয়েছে বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টেয়। এর পরে ২০ জেলা থেকে যে রিপোর্ট রাজ্য নির্বাচন কমিশন পেয়েছে, তাতে পঞ্চায়েত নির্বাচনের মোট আসনের চেয়ে প্রায় ১২ হাজার বেশি মনোনয়ন জমা দিয়েছে শাসক তৃণমূল। গ্রাম পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি এবং জেলা পরিষদ মিলিয়ে রাজ্যে মোট ৭৩,৮৮৭ আসনে ভোট হওয়ার কথা। শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত যে হিসাব নির্বাচন কমিশন পেয়েছে তাতে তৃণমূলের প্রার্থী হতে মনোনয়ন জমা পড়েছে ৮৫,৮১৭টি। অর্থাৎ, ১১,৯৩০টি মনোনয়ন বেশি জমা পড়েছে।
তৃণমূলের থেকে অনেকটাই পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় স্থানে বিজেপি। আদালতের নির্দেশে শুক্রবারও অনেক জায়গায় মনোনয়ন জমা চলছে। তবে শুক্রবার দুপুর দেড়টা নাগাদ যে হিসাব কমিশন দিয়েছে, তাতে রাজ্যে বিজেপির মনোনয়ন ৫৬,৩২১টি। এর পরেই সিপিএম ৪৮,৬৪৬। কংগ্রেস জমা দিয়েছে ১৭,৭৫০টি মনোনয়ন। মোট নির্দল প্রার্থী ১৬,২৯৩ এবং অন্যান্যদের ১১,৬৩৭টি মনোনয়ন জমা পড়েছে। সব মিলিয়ে আপাতত মোট মনোনয়ন জমা পড়েছে ২,৩৬,৪৬৪টি।
গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
মনোনয়ন পর্বের প্রথম দিকে অবশ্য বিজেপিই এগিয়ে ছিল। এর পরেই ছিল সিপিএম। কিন্তু শেষ দু’দিনে লাফিয়ে বাড়ে তৃণমূলের মনোনয়ন। রাজ্য নির্বাচন কমিশন যে হিসাব দিয়েছে তাতে শেষ দু’দিনে তৃণমূল জমা দিয়েছে ৭৬,৪৮৯টি। মনোনয়ন শুরু হয় গত শুক্রবার। রবিবার মনোনয়ন বন্ধ ছিল। মঙ্গলবার রাতে রাজ্য নির্বাচন কমিশন যে হিসাব দেয় তাতে তৃণমূল জমা দিয়েছিল ৯,৩২৮টি। সেটাই বুধবার হয়ে যায় ৪৯,৪৯১। আর বৃহস্পতিবার দিনের শেষে সেই সংখ্যা হয়ে যায় ৮৫,৮১৭। প্রথম চার দিনে মোট মনোনয়ন জমা পড়ে ৯৩,৪২৫টি। আর শেষ দু’দিনে ১,৪৩,০৩০টি মনোনয়ন। যার বেশিটাই দিয়েছে তৃণমূল।
আরও একটি উল্লেখযোগ্য বিষয়, জেলা পরিষদের ক্ষেত্রে তৃণমূল ও বিজেপি দুই দলই মোট আসনের চেয়ে বেশি মনোনয়ন জমা দিয়েছে। জেলা পরিষদে মোট আসন ৯২৮। দুই দলের মনোনয়ন যথাক্রমে ১,০৭৯ এবং ১,০৫৮। তৃণমূলের ক্ষেত্রে অবশ্য গ্রাম পঞ্চায়েত এবং পঞ্চায়েত সমিতির ক্ষেত্রেও বেশি মনোনয়ন জমা পড়েছে। গ্রাম পঞ্চায়েতে মোট আসন ৬৩,২২৯। তৃণমূল জমা দিয়েছে ৭৩,২১১টি। পঞ্চায়েত সমিতিতে মোট আসন ৯,৭৩০। তৃণমূল জমা দিয়েছে ১১,৫২৭টি মনোনয়ন।
প্রসঙ্গত, পঞ্চায়েত নির্বাচনের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত মনোনয়ন নতুন কিছু নয়। অনেক সময়েই একই দলের একাধিক মনোনয়ন একটি আসনের জন্য জমা দেওয়া হয়। পরে তা প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। শনিবার হবে মনোনয়নের স্ক্রুটিনি। তাতে কিছু মনোনয়ন বাতিল হতে পারে। এর পরে ২০ জুন মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন। এর পরেই জানা যাবে কোন দলের কত প্রার্থী ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচনের কোন স্তরে লড়ছে।