দাঁতনে গ্রামীণ মেলার উদ্বোধনে রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়। ছবি: সৌমেশ্বর মণ্ডল।
কোথাও দুর্ঘটনা ঘিরে জনরোষ আছড়ে পড়ছে। কোথাও পুলিশের সঙ্গে স্থানীয়দেক খণ্ডযুদ্ধ বাধছে উন্নয়নের প্রকল্প ঘিরে আশঙ্কার জেরে। কয়েক দিনে রাজ্যের নানা প্রান্ত বারবার উত্তপ্ত হয়েছে হিংসায়। এই প্রেক্ষাপটে হিংসা-দলাদলি ঊর্ধ্বে সহিষ্ণুতার বার্তাই দিলেন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়।
পশ্চিম মেদিনীপুরের দাঁতনে বৃহস্পতিবার গ্রামীণ মেলার উদ্বোধনে এসেছিলেন প্রণববাবু। অনুষ্ঠান-মঞ্চেই রাষ্ট্রপতি বলেন, “পৃথিবীটা ক্রমেই ভয়ানক হিংস্র, অশান্ত হয়ে উঠছে। খবরের কাগজের পাতায়, টেলিভিশনের পর্দায় দেখা যাচ্ছে, কোথাও না কোথাও বিশৃঙ্খল ঘটনা ঘটছে। সামান্য বিষয়ে অশান্তি হচ্ছে।’’ তাঁর আরও বক্তব্য, ‘‘আমাদের দৈনন্দিন জীবনে আগে মতপার্থক্য, মতানৈক্য ছিল না তা নয়। কিন্তু সেগুলো একটা সীমানার মধ্যে আবদ্ধ রাখতে পারতাম। এখন প্রচার মাধ্যমের প্রসারের জন্য সে সব জানতে পারছি।’’
দেশের সাংবিধানিক প্রধান হিসাবে রাষ্ট্রপতি ভাঙড় বা রসপুঞ্জের মতো নির্দিষ্ট কোনও ঘটনার উল্লেখ করেননি। রাজ্য এবং জাতীয় স্তরে রাজনৈতিক অসহিষ্ণুতা, শাসক-বিরোধীর সংঘাত নিয়েও আলাদা করে কিছু বলেননি। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে তাঁর সহিষ্ণুতার বার্তা তাৎপর্যপূর্ণ। রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘‘গণতন্ত্রে তিনটি ‘ডি’ আছে— ডিবেট, ডিসেন্ট, ডিসিশন। সংসদে সুস্থ বিতর্ক হচ্ছে না। এটা সুস্থ গণতন্ত্রের লক্ষণ নয়। আমরা অসহিষ্ণু হয়ে পড়ছি। কিন্তু ভিন্ন মত আমাদের সকলকেই শুনতে হবে।’’
জেলা ও কলকাতায় কর্মসূচি সেরে ফেরার পরে রাতে রাজভবনে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করেন
তৃণমূলের মুকুল রায়, সুব্রত বক্সী, সুব্রত মুখোপাধ্যায়েরা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রণববাবুর সঙ্গে দেখা করেছিলেন বুধবারই।