কর্মসূচিতে মিলছে সাড়া। ফাইল চিত্র।
দলের কর্মসূচিতে ভাল সাড়া মিলছে। পুরনো, বসে যাওয়া কর্মী-সমর্থকদের অনেকেই ফিরছেন। কিন্তু নিচু তলায় শাসক তৃণমূল কংগ্রেসকে ঠেকানোর জন্য বিজেপি-সহ অন্যান্য দলের সঙ্গে সমঝোতার প্রবণতাও চোখে পড়ছে। সিপিএমের রাজ্য কমিটির বৈঠকে এমন রিপোর্টই দিলেন জেলা নেতৃত্বের একাংশ। সিপিএম সূত্রের ইঙ্গিত, জেলার মতামত শোনার পরে পঞ্চায়েত ভোট বা স্থানীয় স্তরের কোনও নির্বাচনে বিজেপি বা তৃণমূলের সঙ্গে কোনও রকম সমঝোতা চলবে না— এই মর্মে কড়া বার্তাই দেওয়া হবে আলিমুদ্দিন স্ট্রিটের তরফে।
সিপিএম সূত্রের খবর, রাজ্য কমিটির দু’দিনের বৈঠকের প্রথম দিনে প্রায় সব জেলা থেকেই গ্রামে গ্রামে পদযাত্রা সম্পর্কে ইতিবাচক রিপোর্ট পাওয়া গিয়েছে। বিধানসভা ভোটে ভরাডুবির পরে বহু জায়গায় সংগঠন যে আবার নড়াচড়া করছে, বুধবার বৈঠকে সে কথাই জানিয়েছেন জেলার প্রতিনিধিরা। তবে একই সঙ্গে জেলার নেতাদের বক্তব্য, রাজ্য জুড়ে পঞ্চায়েতের সিংহ ভাগই এখন তৃণমূলের দখলে। তাই চুরি-দুর্নীতির অভিযোগ বা মজুরি-সহ প্রাপ্য না পাওয়ার ক্ষোভ তৃণমূলের বিরুদ্ধেই বেশি। আগে তৃণমূলকে হারাতে হবে, এমন মনোভাব থেকে একেবারে নিচু তলায় সব বিরোধী দলের মিলেমিশে যাওয়ার প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। এই অবস্থায় সিপিএম দলীয় ভাবে কী অবস্থান নেবে, তা ভেবে দেখার কথা বলেন জেলার নেতাদের একাংশ। সম্প্রতি পূর্ব মেদিনীপুর জেলার কয়েকটি সমবায়ে বাম, বিজেপি-সহ নানা রঙের সমর্থকদের একজোট হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। দলীয় স্তরে তদন্ত করে শাস্তির ব্যবস্থাও করেছে সিপিএম।
রাজ্য কমিটির বৈঠকের শেষ দিনে, আজ, বৃহস্পতিবার জবাবি বক্তৃতা করার কথা সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিমের। বৈঠকের প্রারম্ভিক ভাষণে এ দিন তিনি বলেছেন, পঞ্চায়েতে এক ইঞ্চি জমি ছাড়ারও প্রশ্ন নেই। দলের রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর এক সদস্যের বক্তব্য, ‘‘অবস্থান নতুন করে ঠিক করার কিছু নেই। বিজেপি ও তৃণমূলের সঙ্গে কোনও রকম সম্পর্ক রেখে কিছু করা যাবে না, এটাই আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই। প্রথম লক্ষ্য, পঞ্চায়েতে দলের শক্তি যথাসম্ভব বাড়ানো। তাতে যদি কোনও জোটই না হয়, হবে না!’’ তবে পঞ্চায়েতে নিচু তলায় যে রাজ্য নেতৃত্বের দেওয়া বার্তা বহু ক্ষেত্রেই কার্যকর হয় না, তা জানেন সিপিএম নেতৃত্ব। তবু পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে দলের জন্য নির্দেশিকা ঠিক করে দিতে চায় আলিমুদ্দিন।