দুই জেলায় হুলা পার্টি নেই, হাতি তাড়াবে কে

রাজ্যের প্রধান মুখ্য বনপাল রবিকান্ত সিংহ বলেন, ‘‘বাঁকুড়ায় হুলা পার্টি নেই বললেই চলে। পুরুলিয়াতেও কম।

Advertisement

কৌশিক ঘোষ ও কুন্তক চট্টোপাধ্যায়

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৫ জানুয়ারি ২০২০ ০৪:৪৬
Share:

ফাইল চিত্র।

ঝাড়খণ্ড থেকে বুনো হাতির দল প্রতি বছরই ঢুকছে বাংলার পশ্চিমাঞ্চলে। দলমা থেকে আসা দামালদের হামলায় গত ডিসেম্বরেই পুরুলিয়ায় দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু হাতি তাড়ানোর কোনও বাহিনী নেই সেখানে! পুরুলিয়া-বাঁকুড়ায় যে হাতি তাড়ানোর হুলা পার্টি নেই, তা মেনে নিয়েছেন রাজ্যের শীর্ষ বনকর্তারাও।

Advertisement

রাজ্যের প্রধান মুখ্য বনপাল রবিকান্ত সিংহ বলেন, ‘‘বাঁকুড়ায় হুলা পার্টি নেই বললেই চলে। পুরুলিয়াতেও কম। কারণ, ওখানে হাতির সংখ্যা অনেক কমে গিয়েছে। ঝাড়গ্রাম ও পশ্চিম মেদিনীপুরে হাতি বেশি আসায় ওই দুই জেলায় হুলা পার্টির সংখ্যা বেশি।’’ তবে রাজ্যের বন দফতরের একাংশ বলছে, বাঁকুড়া-পুরুলিয়ায় হুলা পার্টির লোকজন ঝাড়খণ্ডে হাতি তাড়াতে যাচ্ছেন। সে-দিক থেকে হাতি তাড়ালে তারা ফের ওই দুই জেলায় ঢুকে পড়বে। বন দফতরের সব খরচ ট্রেজারির হাতে দেওয়ায় হুলা পার্টির লোকেদের পারিশ্রমিক দিতেও সমস্যা হচ্ছে। হুলা পার্টির সদস্যেরা দৈনিক মাথাপিছু ২৫০ টাকা মজুরি পান। ট্রেজারি থেকে টাকা পেতে গেলে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট, প্যান কার্ড ইত্যাদি লাগে। এই জটিল পদ্ধতির ফলে অনেকেই বন দফতরের সঙ্গে কাজ করতে চাইছেন না।

ঝাড়খণ্ড থেকে হাতির পাল বাংলার পশ্চিমাঞ্চলের জেলায় চলে আসে। কয়েকটি এলাকায় কিছু দলছুট হাতি সারা বছরই ঘুরে বেড়ায়। উত্তরবঙ্গের তরাই-ডুয়ার্সেও বুনো হাতির সমস্যা রয়েছে। বনকর্তারা বলছেন, আগুন ছুড়ে হাতি তাড়াতে গিয়ে অনেক ক্ষেত্রে বুনো হাতির গায়ে আগুন লেগেছে। তার ফলে আগুন ছুড়ে হাতি তাড়ানোর উপরে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে সুপ্রিম কোর্ট। শব্দবাজি ফাটানোর ক্ষেত্রেও কড়াকড়ি রয়েছে। হাতির বিপদ এড়াতে গ্রামে গ্রামে সচেতনতা বাড়ানো হচ্ছে। হাতি নিয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি ও বন দফতরের সঙ্গে কাজ করার ব্যাপারে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে পুলিশের সিভিক ভলান্টিয়ারদেরও।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement