এফআইআর পাঁচটি, ধৃতের সংখ্যা শূন্য!

পুলিশ সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার রাতেই একটি স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করে যাদবপুর থানা। শুক্রবার দুপুরে বিজেপি নেত্রী ও ফ্যাশন ডিজাইনার অগ্নিমিত্রা পালের অভিযোগের ভিত্তিতে একটি এফআইআর দায়ের হয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০৪:০১
Share:

ফাইল চিত্র।

পাঁচ-পাঁচটি এফআইআর। অথচ গত বৃহস্পতিবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে গোলমালের ঘটনা, ভাঙচুরের ৪৮ ঘণ্টা পরেও গ্রেফতার তো দূর অস্ত, জিজ্ঞাসাবাদের জন্যও কাউকে ডাকা হয়নি বলে পুলিশ সূত্রের দাবি।

Advertisement

পুলিশ সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার রাতেই একটি স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করে যাদবপুর থানা। শুক্রবার দুপুরে বিজেপি নেত্রী ও ফ্যাশন ডিজাইনার অগ্নিমিত্রা পালের অভিযোগের ভিত্তিতে একটি এফআইআর দায়ের হয়। এর পর আরও দু’টি এফআইআর হয় এসএফআই এবং যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েক জন পড়ুয়ার দায়ের করা নিগ্রহের অভিযোগের ভিত্তিতে। শুক্রবার রাতে যাদবপুর থানায় আরও এক যুবক তাঁকে মারধরের অভিযোগ দায়ের করেন। তার ভিত্তিতেই পঞ্চম এফআইআরটি রুজু হয়েছে।

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে গত বৃহস্পতিবারের ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে নানা মহল থেকে প্রশ্ন উঠেছিল। কেউ বলেছেন, পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যাচ্ছে দেখেও পুলিশ কেন নিজে থেকে সক্রিয় হল না? কারও আবার বক্তব্য ছিল, বিশ্ববিদ্যালয়ে পুলিশের ঢোকার বাধ্যবাধকতা থাকলেও বাইরে থেকে আসা হামলাকারীদের আটকাতে তো কোনও বাধা ছিল না! পুলিশ তা করল না কেন? ঘটনার ৪৮ ঘণ্টা পরেও পুলিশ কাউকেই পাকড়াও করতে না পারায় ফের পুলিশের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন অনেকে। যাদবপুরের সিপিএম বিধায়ক সুজন চক্রবর্তী বলছেন, ‘‘বিভিন্ন সংবাদ সংস্থার ফুটেজ এবং পাঁচটা এফআইআর হাতে নিয়েও পুলিশ কাউকেই ধরতে পারছে না? প্রশাসনকে ভেন্টিলেশনে পাঠিয়ে মজা দেখা হচ্ছে।’’ বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের মন্তব্য, ‘‘রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা যে ভেঙে পড়েছে, তা বৃহস্পতিবারই বোঝা গিয়েছে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর কোনও ক্ষতি হয়ে গেলেও বোধ হয় পুলিশ কিছু করত না।’’

Advertisement

পুলিশ আধিকারিকেরা বলছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে কোনও সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ এখনও পাওয়া যায়নি। ফলে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম ও সোশ্যাল মিডিয়ায় থাকা ছবি-ভিডিয়োর উপর ভরসা করতে হচ্ছে। ওই রাতে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের গেটের বাইরে উপস্থিত থাকা পুলিশকর্মীদের পোশাকে লাগানো ক্যামেরা থেকেও কিছু ফুটেজ মিলেছে। যাদবপুর থানার পাশাপাশি সেই সব ফুটেজ এবং ছবি লালবাজারও খতিয়ে দেখছে। সন্দেহভাজনদের খোঁজে শুক্রবার রাতেই কয়েকটি জায়গায় হানাও দেওয়া হয়েছে।

কলকাতা পুলিশের ডিসি (এসএসডি) সুদীপ সরকার বলেন, ‘‘যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে প্রচুর আলোচনা চলছে এখন। শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানে ঢোকার বাধ্যবাধকতা বুঝে কাজ করতে হচ্ছে। সঠিক পথেই তদন্ত এগোচ্ছে। অভিযুক্তদের চিহ্নিত করে দ্রুত গ্রেফতার করা হবে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement