JAP

আসেনি টাকা, উন্নয়ন থমকে জঙ্গলমহলে 

জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিক মানছেন, চলতি আর্থিক বছরে পিইউপি থেকে প্রায় ৩২ কোটি টাকা ও জ্যাপ থেকে প্রায় ১৪ কোটি টাকা আসার কথা ছিল।

Advertisement

বরুণ দে

মেদিনীপুর শেষ আপডেট: ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ০৬:১৫
Share:

ছবি: সংগৃহীত

চলতি আর্থিক বছর শেষ হতে চলল। অথচ এখনও জঙ্গলমহল অ্যাকশন প্ল্যান (জ্যাপ) ও পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন পর্ষদের (পিইউপি) খাতে কোনও টাকা এল না পশ্চিম মেদিনীপুরে। প্রশাসন সূত্রে খবর, এমনটা এই প্রথম হল।

Advertisement

জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিক মানছেন, চলতি আর্থিক বছরে পিইউপি থেকে প্রায় ৩২ কোটি টাকা ও জ্যাপ থেকে প্রায় ১৪ কোটি টাকা আসার কথা ছিল। ওই পরিমাণ টাকা বরাদ্দ হলে কী কী কাজ হবে, জেলার নির্দেশে ব্লকগুলি তার খসড়াও তৈরি করে নিয়েছিল। এ বার শুধু জ্যাপ থেকেই পশ্চিম মেদিনীপুরে ১৭৬টি প্রকল্প হওয়ার কথা ছিল। টাকা না আসায় কাজ শুরু হয়নি।

প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, জঙ্গলমহলের উন্নয়নে কেন্দ্র তার বিশেষ প্রকল্প ‘ইন্টিগ্রেটেড অ্যাকশন প্ল্যান’ (আইএপি) তুলে নেওয়ার পর ওই প্রকল্পের নিয়ম প্রায় এক রেখেই জঙ্গলমহলের জন্য ‘জ্যাপ’ চালু করেছিল তৃণমূল সরকার। পশ্চিম মেদিনীপুরে ২১টি ব্লক রয়েছে। তার মধ্যে মেদিনীপুর সদর, শালবনি এবং গোয়ালতোড় জ্যাপের টাকা পায়। পিইউপি- র টাকা পায় জেলার দশটি ব্লক যথাক্রমে মেদিনীপুর সদর, গড়বেতা- ১, গড়বেতা- ২, গড়বেতা- ৩, কেশপুর, শালবনি, খড়্গপুর- ১, খড়্গপুর- ২, কেশিয়াড়ি এবং নারায়ণগড়।

Advertisement

বিরোধীদের অভিযোগ, মেলা- খেলা- উৎসবে দেদার বেহিসেবি খরচ হচ্ছে। তাই পরিকাঠামো উন্নয়নের খাতে টাকা দিতে পারছে না রাজ্য সরকার। গত লোকসভা ভোটে জঙ্গলমহলে তৃণমূলের ফল ভাল হয়নি। তাই এখানকার উন্নয়নে তৃণমূল সরকার উদাসীন হয়ে পড়েছে বলেও অভিযোগ করছেন কেউ কেউ। বিরোধীরা মনে করিয়ে দিচ্ছেন, পিইউপি ও জ্যাপ খাতে কোনও টাকা না এলেও জঙ্গলমহল উৎসবের জন্য কিন্তু টাকার অভাব হয়নি। বিজেপির জেলা সভাপতি শমিত দাশের কথায়, ‘‘তৃণমূল সরকার বুঝে গিয়েছে, জঙ্গলমহল থেকে আর কাটমানি খেতে পারবে না। তাই এখানে অর্থ বরাদ্দ বন্ধ করে দিয়েছে।’’ কংগ্রেসের জেলা সভাপতি সৌমেন খানের কটাক্ষ, ‘‘এখন উৎসবের মরসুম। সরকার খয়রাতি করে ভোট জোগাড়ে ব্যস্ত! তাই এদিকে নজর নেই।’’

বছর ঘুরলেই বিধানসভা ভোট। ওই দু’টি গুরুত্বপূর্ণ খাতে টাকা না আসায় শাসক দলের স্থানীয় নেতা- কর্মীরাও চাপে পড়ে গিয়েছেন। মেদিনীপুর সদর পঞ্চায়েত সমিতির এক তৃণমূল সদস্যের কথায়, ‘‘আমার এলাকায় একটা উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র হওয়ার কথা। এলাকার মানুষ প্রায়ই জানতে চান, কাজটা কবে শুরু হবে। আমি কিছু বলতে পারি না।’’ ওই দুই খাতে এখনও কোনও অর্থ বরাদ্দ হল না কেন? তৃণমূলের জেলা সভাপতি অজিত মাইতির জবাব, ‘‘এটা প্রশাসনিক ব্যাপার। ঠিক সময়েই অর্থ বরাদ্দ হবে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement