স্পিকারের বিরুদ্ধে আনা অনাস্থা প্রস্তাবে মোট ১৬টি অভিযোগ আনা হয়েছে। ফাইল চিত্র।
বিধানসভায় স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে আনা বিজেপি পরিষদীয় দলের অনাস্থা প্রস্তাব আলোচ্য সূচিতে স্থান পেল। সোমবার বিধানসভার বুলেটিনে সে কথা প্রকাশ পেয়েছে। বুলেটিনে জানানো হয়েছে, ১৭৯ ধারায় আগামী ৬ মার্চ বিধানসভায় এই অনাস্থা প্রস্তাবের পক্ষে অধিবেশনের মতামত চাওয়া হবে। যে হেতু বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এই অনাস্থা প্রস্তাবটি জমা দিয়েছেন, তাই বিজেপির কমপক্ষে ওই দিন ৩০ জন বিধায়কের অধিবেশনে থাকা আবশ্যিক।
প্রস্তাবটি বিধানসভায় আনা হলে এবং ৩০ জন বিজেপি বিধায়ক সেই প্রস্তাবটি সমর্থন করলে তা গ্রহণ করবে বিধানসভা। অধিবেশনে সেই অনস্থা প্রস্তাব গৃহীত হলে আগামী ১০ দিন পর বিধানসভায় স্পিকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা হবে। আগামী ৩ মার্চ পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় কার্যবিবরণী কমিটির বৈঠক বসবে। সেখানে স্থির হবে এই প্রস্তাবটি ৬ মার্চ কখন আনা হবে।
গত ১৩ ফেব্রুয়ারি বাজেট অধিবেশন চলাকালীন বিধানসভার সচিবালয় স্পিকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব জমা দেন বিরোধী দলনেতা। তার পর থেকেই জল্পনা তৈরি হয়েছিল সেই প্রস্তাব কি আদৌ গৃহীত হবে আলোচনার জন্য? কিন্তু সোমবারের বুলেটিনে বিধানসভার সচিবালয়ের তার উল্লেখ করে দেওয়া স্পিকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে আলোচনার পথ অনেকটাই প্রশস্ত হল বলে মনে করা হচ্ছে। সূত্রের খবর, বুলেটিনে অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে আলোচনার ইঙ্গিত পেয়েই নিজেদের মতো করে প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে বিজেপি পরিষদীয় দল। যে দিন ওই প্রস্তাবটি পেশ করা হবে সে দিন যাতে কমপক্ষে ৩০ জন বিধায়ক সদনে উপস্থিত থাকেন সেই ব্যবস্থা করা হচ্ছে তাদের পক্ষে।
স্পিকারের বিরুদ্ধে আনা অনাস্থা প্রস্তাবে মোট ১৬টি অভিযোগ আনা হয়েছে। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল, পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির (পিএসি) চেয়ারম্যান পদ নিয়ে স্পিকার পক্ষপাতিত্ব করেছেন, দলত্যাগবিরোধী আইন নিয়ে স্পিকার তাঁর অবস্থান স্পষ্ট করেননি, বিধানসভায় বিরোধী নেতাদের যথোপযুক্ত সম্মান দেওয়া হচ্ছে না, শাসকদলের অঙ্গুলিহেলনে স্পিকার চলছেন। গত ষষ্ঠদশ বিধানসভাতেও স্পিকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব এনেছিলেন তৎকালীন বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান। সে বার অধিবেশনে সেই প্রস্তাব গৃহীত হয়েছিল। কিন্তু, অধিবেশন শেষ ঘোষণা হয়ে যাওয়ায় আর অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা হয়নি।