পশ্চিমবঙ্গে অসহযোগিতার মানসিকতার জন্যই ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক-সহ একাধিক উন্নয়নমূলক প্রকল্পের কাজ থমকে রয়েছে বলেই মত কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহণমন্ত্রী নিতিন গডকড়ীর। আজ ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের জমি অধিগ্রহণের সমস্যা নিয়ে আলোচনায় বসেছিলেন গডকড়ী ও প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। ওই প্রকল্পে সব ধরনের সাহায্যের প্রতিশ্রুতির পাশাপাশি গডকড়ী জানান, তাজপুরে বন্দর নির্মাণেও অর্থ দেবে কেন্দ্র।
কলকাতা থেকে ডালখোলা পর্যন্ত জাতীয় সড়ক চার লেন করার জন্য ২০০৯ সালে কেন্দ্রীয় বাজেটে ২০০০ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়। কাজ অনেকটায় এগিয়ে গেলেও বারাসতের সন্তোষপুর মোড় থেকে আমডাঙ্গা থানার রাজবেড়িয়ার
মধ্যে মীরহাটি, কামদেবপুর, সোলাডাঙ্গা এবং খেলিয়া মৌজার ৪ কিলোমিটার রাস্তার বেশ কিছু জমি মেলেনি।
জমির যথাযথ দাম দিতে হবে এই দাবিতে স্থানীয় বাসিন্দা ও দোকানিরা সংগঠিত হয়ে সড়ক সম্প্রসারণে বাধা দিচ্ছেন। স্থানীয় মানুষদের দাবি প্রধানত দু’টি। যাদের জমি অধিগ্রহণ করা হচ্ছে, তাদের পুনর্বাসন দিতে হবে। এ ছাড়া, জমির দাম দিতে হবে বর্ধিত হারে ।
আজ ছ’জন স্থানীয় প্রতিনিধিকে নিয়ে গডকড়ীর সঙ্গে দেখা করেন অধীরবাবু। তাঁর দাবি, গডকড়ী বলেছেন, দ্রুত সমস্যার সমাধান করে কেন্দ্র কাজ শুরু করে দিতে চায়। কেন্দ্র বেশি দাম দিতেও রাজি। যদি সরকার ২০১৩ সালের জমি অধিগ্রহণ আইনে জমি নেয়, তা হলে ক্ষতিগ্রস্তরা বেশি দাম পাবেন। কিন্তু রাজ্য সরকার সম্ভবত ২০০৯ সালের আইনে ওই জমি অধিগ্রহণ করেছে। তাই ওই জমির জন্য আদালতের বাইরে যে সালিশি ব্যবস্থা রয়েছে, সেখানে স্থানীয়দের বেশি দাম পাওয়ার
দাবি তোলার পরামর্শ দিয়েছেন গডকড়ী। পরে আমডাঙ্গার চাষি শুধাংশু শীল বলেন, ‘‘আজ মন্ত্রীর কথায় অনেকটাই আশ্বাস পেয়েছি।’’ মহিম শেখ নামেআর এক চাষি বলেন, ‘‘আমরাও চাই জাতীয় সড়ক সম্প্রসারণের কাজ হোক। সঠিক ক্ষতিপুরণের জন্যই এত চেষ্টা।’’ প্রতিনিধি দলের দাবি, আগামী ১ জুলাইয়ের মধ্যে ৯০ শতাংশ সড়ক তৈরির কাজ সম্পূর্ণ হবে বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।